নতুন রাজ্যপালের নাম আনন্দ বসু হলেও তিনি বাংলার বাসিন্দা নন। কেরালার কোয়াট্টাম অঞ্চলে তাঁর জন্ম। সিভিল সার্ভেন্ট সি ভি আনন্দ বসু একজন লেখকও বটে। ভারত সরকারের সচিব, মুখ্য উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের হ্যাবিট্যাট গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যও বটে। মুসৌরির লাল বাহাজুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি থেকে পড়াশোনা করেছেন সি ভি আনন্দ বসু। জওহরলাল নেহরুর ফেলোশিপও পেয়েছেন তিনি। তিনি একাধিক রাজ্যের জেলাশাসক, মুখ্যসচিব হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি, বন, শ্রম দফতরে আধিকারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উপ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের আগে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বাংলার ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপালের দায়িত্ব পেয়েছিলেন লা গণেশন। তিনি ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল। ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া পদে নতুন কারও নিয়োগ না হওয়া অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার বাংলার ‘ফার্স্ট সিটিজেন’ হলেন সি ভি আনন্দ বসু (C V Ananda Bose)। বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি ছিল, ধনখড়ের পরে এ রাজ্যের রাজভবনের বাসিন্দা হতে পারেন উত্তরপ্রদেশের শিয়া মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভি। বাংলা সামলাতে সদ্য প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদের উপরেই ভরসা রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কেরালার আইএএস-কে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হল।
বরাবরই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বনিবনা হত না। একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সরব হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকেও জগদীপ ধনখড়ের বিরোধিতা করা হয়। একাধিকবার রাজ্যপাল পরিবরর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও আবেদন করেছিলেন রাজ্যের একাধিক নেতা। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। তারপরই কেন্দ্রের তরফে উপ রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করা হয় ধনখড়কে।