ক্রমশই জটিল হচ্ছে মামলার জট বৃহস্পতিবার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে এই মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijeet Ganguly) রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন কোর্ট। একইসঙ্গে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশও বহাল রাখে আদালত।
বেআইনি ভাবে নিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মীদের অতিরিক্ত পদ তৈরি করে চাকরিতে রাখার বিষয় নিয়ে আদালতের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে অযোগ্যদের চাকরিতে রাখার আবেদন কার মস্তিষ্ক প্রসূত তা জানতে চেয়ে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে তলব করে আদালত। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই জারি রাখেন। সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।
বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন এসএসসির তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসএসসি না অন্য কেউ এই অতিরিক্ত পদের আবেদনের পিছনে আছেন, এই প্রশ্নে আদালতগ্রাহ্য কোনও অপরাধ নেই। সেখানে কী করে তদন্ত হয়! ফৌজদারি অপরাধের ধারা দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে যে ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, সেই প্রমাণ কোথায়? এর আগে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যে সব তদন্ত শুরু হয়েছে, এটা তার থেকে ভিন্ন। আর যদি আবেদন প্রত্যাহার করতে চাওয়া হয়, তা কি পারা যাবে না? রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ”যে তদন্ত করতে বলা হয়েছে, সেখানে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সরকারের ১৯ মে’র বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। এমন ক্ষেত্রে কোনও কর্তাকে ডেকে পাঠানোর এক্তিয়ার নেই। এসএসসির (School Service Commission) আবেদন নিয়ে শিক্ষাসচিবকে উত্তর দিতে ডাকা যায় না।” সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court ) স্থগিতাদেশে খানিক হলেও স্বস্তি রাজ্যের।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।