রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদা মেন লাইনে রাণাঘাট লোকাল কারশেডে ঢোকার সময় অপর একটি ট্রেনের মুখোমুখি হয়ে যায়। যার ফলেই এই বিভ্রাট। তারই প্রভাব শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনে এসে পরে। এক একজন যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টার উপর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। কোনও ট্রেন নেই। ট্রেন অনেকটা দেরিতে চলছে বলে রেল সূত্রে জানা যায়। যাত্রী পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রেল।
বুধবার দুপুর সোওয়া ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদা ট্রেন পরিষেবায় (Sealdah Train) ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আপাতত আপ ও ডাউন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ। শিয়ালদায় বিভিন্ন শাখায় আটকে রয়েছে একাধিক ট্রেন। চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা। যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে অন্য লাইন দিয়ে ট্রেন চালিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে এভাবে ট্রেন আটকে পড়ায় শিয়ালদামুখী ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ট্রেনের ধাক্কায় তুবড়ে গিয়েছে একটি ট্রেনের চালকের কেবিন। অন্য ট্রেনটি লাইনচ্যুত। রাণাঘাট লোকাল (Ranaghat Local) যাত্রীবাহী হওয়ায় বিপদ ছিল আরও বেশি। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে কোনও যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রেন দুটির ধাক্কায় পর পর লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। আপ রাণাঘাট লোকালকে সরানো হলেও, ধাক্কায় কারশেডগামী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সেটি লাইনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। রাণাঘাট লোকালের পিছনের চারটি কামরায় পাশাপাশি ধাক্কায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ধাক্কার তীব্রতায় কারশেডগামী ট্রেনের একটি চাকা ট্র্যাক ছেড়ে প্রায় তিন ফুট বাইরে চলে যায়।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। এ বিষয়ে দুই ট্রেনের ড্রাইভারের সঙ্গেও কথা বলে দেখবে তারা।