
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ‘বেইমান মুক্ত নন্দীগ্রাম’ কর্মসূচী কার্যকর হয়। বুধবার বিকেল নন্দীগ্রাম বাজার লাগোয়া জানকীনাথ মন্দিরের সামনের মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইয়া, সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন সভায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বাংলাকে বঞ্চনা করে চলেছে। বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে চলেছে। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা বন্ধ করে দেওয়ার চেস্টা করে চলেছে তাই আমরা ‘বেইমান মুক্ত’ করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সেই কর্মসূচিতে সকলকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দলের সঙ্গে বেইমানি করার বিষয় থেকেও রাজ্যের জনসাধারণের সঙ্গে দ্বিচারিতা করার অভিযোগেই শুভেন্দুকে বিদ্ধ করার প্রয়াস তৃণমূলের। জেলায় জেলায় একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পের আর্থিক অনুদান বন্ধ রয়েছে। সেই অনুদান রাজ্যে ঢুকতে বাধা প্রদান করছে রাজ্যের কিছু বিরোধী নেতা – সেই বার্তা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখেও। এটা যে আদতে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে ‘বেইমানি’ সেই দাবি তুলে বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ চালাতে চাইছে তৃণমূল।
উলেখ্য, গত ৩ রা ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে এসে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avisek Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, বাংলা তথা মেদিনীপুরকে যাঁরা বা যে অপমানিত করে চলেছে তার প্রতিবাদ জানাতে মেদিনীপুরের মানুষকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। ‘বেইমান মুক্ত’ কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে, পাড়ায় পাড়ায় সভা করতে হবে। সেই ঘোষনার পর বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলার নন্দীগ্রাম -১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ‘বেইমান মুক্ত নন্দীগ্রাম’ পালন করা হয়। এদিন BJP ও CPIM থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।