দুর্নীতি ও নিয়োগ ইস্যুতে এদিন আরও একবার তৃণমূলকে নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘IPAC-এর ছেলেগুলোকে অস্থায়ী হোম গার্ড পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বাংলা থেকে টাকা তুলে ত্রিপুরা মেঘালয়ে টিন বিতরণ করা হচ্ছে। গরিব মানুষকে বান্ডিল বান্ডিল টিন দেওয়া হচ্ছে। আমার কাছে সব ভিডিয়ো-ছবি রয়েছে। এ রাজ্য থেকে লুট করা টাকা দিয়ে এই কাজ হচ্ছে।’
বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের আয় নিয়ে লাগাতার নিশানা করে আসছেন শুভেন্দু। এদিন আরও একবার সেই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘একটা পার্টি ইলেক্টরাল বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী টাকা দিল, কোন কোন শিল্পপতি টাকা দিল তাদের আয়কর দফতর ও সেবিকে হিসেবে দেখাতে হবে। একটি মদের কোম্পানি সেবির কাছে দাবি করেছে তারা তৃণমূলকে ৪০ কোটি টাকা ইলেক্টরাল বন্ডে দেওয়ার দাবি করেছে। ২০২১ সালে নির্বাচনের বছরে বন্ডে ৪২ কোটি টাকা পেয়েছিল সেখানে কোন জাদু বলে এই বছর ৫২৮ কোটি টাকা পেল তৃণমূল? বেআইনি কাজ যারা করা তাঁরা টাকা দিয়েছে। সব চোররা তৃণমূলকে টাকা দিয়েছে।’
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আরও একবার ইলেক্টরাল বন্ড প্রসঙ্গ নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের জবাব আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি জানিয়েছিলেন, আয়কর দফতের কাছেই এই বন্ড জমা দেওয়া হয়েছে, তাই এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও মানেই হয় না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আগামী দিনে ইলেক্টরাল বন্ড নিয়ে তৃণমূল-শুভেন্দু তরজা তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।