West Bengal Local News জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মৃতদেহ কাঁধে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার এক ব্যক্তি। মৃতদেহ কাঁধে তুলে নেওয়া পরিবারকে সাহায্য করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কোতয়ালি থানার পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ল এদিনই।

এদিন পুলিশ গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, ”তদন্তে অঙ্কুর দাস সহযোগিতা করছে না। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” আদালতের কাছে তাঁকে রিমান্ডে নেবার জন্য আবেদন করে পুলিশ। পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমের কোন কোন কর্মী কাঁধে মৃতদেহ তুলে নেবার ছবি করেছে পুলিশ থানায় ডেকে তাদের জেরা করেছে বলে অভিযোগ।

Jalpaiguri News : ‘কোনও প্ররোচনায় স্ত্রী’র মৃতদেহ কাঁধে নিইনি’, সাফ জানালেন জয়কৃষ্ণ

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত লক্ষ্মীরাণী দেওয়ানের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া ঘনীভূত বিতর্ক ও সেই ঘটনার তদন্তে তৈরি করা হয়েছিল পাঁচ সদস্যের কমিটি। জানা গিয়েছে, এদিন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সূত্রের খবর, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে হাসপাতালে তিন নিরাপত্তা রক্ষীর কর্তব্যে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই তিন নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ, জানালেন জলপাইগুড়ি গভঃ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের MSVP কল্যাণ খাঁ।

গত পাঁচ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ক্রান্তির বাসিন্দা মৃত লক্ষ্মীরাণী দেওয়ানের মৃতদেহ তার পুত্র রামপ্রসাদ দেওয়ান ও স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিল। এই ঘটনার দৃশ্য দেখেছিল গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠেছিল অ্যাম্বুলেন্স অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় তা দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এরপরই তড়িঘড়ি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Jalpaiguri News : জলপাইগুড়ি মৃতদেহ কাণ্ডে নয়া মোড়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে থানায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক সংগঠন

একইসঙ্গে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যের গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী অভিযোগ, ”অঙ্কুর দাসকে প্রশাসনের পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু তা না করে তৃণমূলের প্রশাসন তাঁকে জেলে ঢোকাল।” অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানিয়েছেন, ”পুলিশ ও প্রশাসন তদন্ত করে গ্রেফতার করেছে। আইনের মাধ্যমে এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version