বিক্রম দাস: প্রাক্তন মন্ত্রী ও মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, চালকলে অভিযান চালাল আয়কর দফতর। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে গতকাল আয়কর দফতর অভিযান চালায় মোট ২৮ জায়গায়। উদ্ধার হয়েছে মোট ১৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে জাকির হোসেনের বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-বারবার প্রেমে বাধা দিচ্ছেন, প্রেমিকার মাকে গলা কেটে খুন করলেন প্রেমিক
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই রাজ্যের ওই ২৮ জায়গায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। এর অধিকাংশটাই মুর্শিদাবাদে। গতকাল রাতে জাকির হেসেনের তেলকল, চালকল, বিড়ির গোডাউন, অফিস, বাড়িতে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকে পাওয়া যায় ৯ কোটি টাকা। ওইসব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু তত্য পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদের আরও ৭-৮টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
এদিকে, আয়কর দফতর সূত্রে আরও খবর, ওই ২৮ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৫ কোটি টাকাই শুধু নয়, উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু গহনা। ওইসব গহনার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বহু জমির দলিল। প্রশ্ন উঠছে জাকির হোসেনের কাছে ওই বিপুল টাকা আসল কীভাবে? জানা যাচ্ছে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে যখন ওই টাকার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তখন তার ব্যাখ্যা জাকির হোসেন দিতে পারেননি।
ওই অভিযান নিয়ে কী বলছেন জাকির হোসেন? আমি ব্যবসা করি। ইনকাম ট্যাক্স আসতেই পারে। কিন্তু তার পদ্ধতিটা আলাদা হওয়া উচিত ছিল। সিআইএসএফকে কেন আনবে? আমি তো কোনও ক্রিমিন্য়াল নই। আমি ব্যবসা করি। রাজ্যের বিধায়কও। ব্যবসা করি, সবসময় আমাদের অ্য়াকাউন্টটেন্ডেন্ট থাকা না। সবকিছু ঠিক থাকেও না। গত ২৩ বছর ধরে আমি এখানে এক নম্বর ট্যাক্স প্রদানকারী। এরকম হেনস্থা আশা করিনি।