তবে উচ্ছেদের ফলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেস এর ধারে চলছিল তাদের ব্যবসা। হঠাৎ এই উচ্ছেদের নির্দেশের ফলে রুজি রুটি হারাবেন তারা। এক ব্যাবসায়ী বলেন, ” আমাদের আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তবে আমরা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলাম। আজ থেকে উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। কিছু করার নেই, অন্যত্র দেখতে হবে ব্যবসা শুরুর জন্য। তবে এরই মাঝে অনেকেই জিনিসপত্র লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের কিছু করার নেই।” ২০২৩ সালের মধ্যে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, ঘোষপাড়া রোড ও বি টি রোডের (B.T Road) বিকল্প হিসেবে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে এর আমূল সংস্কার শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিরাটি পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়ালপুল তৈরি করা হবে।
বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় পর্যন্ত রাস্তা ছ’লেন করার কাজ চলছে। মুড়াগাছা মোড়ে তৈরি হচ্ছে আরও একটি উড়ালপুল। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৫.৮ কিমি। ছ’লেন রাস্তার পাশেই স্থানীয় মানুষের হাঁটাচলা ও যান চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড তৈরি করা হচ্ছে। ছ’লেনের রাস্তা এবং ১৮টি ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ব্যয়বরাদ্দ ১,৭২০ কোটি টাকা। কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি যে কোনও গাড়ি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরতে পারবে। কলকাতায় না ঢুকেই চলে যেতে পারবে মুম্বই বা দিল্লির দিকে।