এখানেই আয়োজকদের পক্ষে হোটেল মালিকদের প্রশ্ন করা হয়, ‘ফায়ার এক্সটিংগুইশারে ব্যবহার কত জন জানেন?’ সূত্রের খবর, সেই সময় হাত তোলেন মাত্র একজন। আর এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। প্রশ্ন উঠছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও।
বৈঠকে প্রায় ৩০০ হোটেল মালিক ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক, দমকল, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার মাত্র একজন জানেন শুনে প্রশাসনের কর্তারা খানিক থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন।
কারণ, ওল্ড দিঘা হোক কিংবা নিউ দিঘা একাধিক হোটেলেই নানান দাহ্য জিনিসে ভর্তি। বেশিরভাগ হোটেলেই রয়েছে কিচেন। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও ঘটনার পর একটুও দেরি করেননি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। দমকল আধিকারিকরা হাতে কলমে এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মিটিংয়েই জানানো হয়, ফায়ার অডিট হবে প্রতি বছর। প্রয়োজনে কয়েকমাস পর আবার বৈঠক ডেকে, কতটা এই ৩০০ জন শিখলেন তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালে-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানে খামতি আছে তা আমরা লক্ষ করেছি। প্রয়োজনীয় যা যা করার আমরা তা করছি। ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষে বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘নিউ দিঘায় অনেক নতুন হোটেল হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অনেকের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ হয়নি এটা অস্বীকার করতে পারব না। আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নিচ্ছি। এই নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’
কিন্তু তারপরেও কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি নিউ দিঘার একটি হোটেলে আগুন লেগেছিল। ২০২২ সালে বেশ কয়েকবার নিউ দিঘার কয়েকটি হোটেলে আগুন লাগে। জুন মাসে একটি হোটেলে আগুন লাগার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। হোটেল কর্মীদেরই তৎপরতায় সে যাত্রায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছিল। কিন্তু, পর্যটক সংস্থাগুলিও বলছে, দিঘায় প্রতিদিন বহু পর্যটক যাচ্ছেন, ফলে হোটেল মালিকদেরও ভাবা উচিত স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কী ভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।