চন্দনের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছ। বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মামাভাগ্নে গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য অনুপ ঘোষের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির তুলনায় চন্দনের বাড়িতে অনেক বেশি ভিড় থাকত। চন্দনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি।
তাঁর দাবি এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। সাদা খাতা জমা দিয়েও এলাকার অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর দাবি, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির চন্দনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।
অনুপ ঘোষ বলেন, “মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে তাদের চাকরি দিয়েছেন। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরাও চন্দনের বাড়িতে যেতেন এবং তাঁর থেকে সুবিধা নিয়েছেন। গাড়িতে করে বস্ত বস্তা টাকা গিয়েছে। কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও চন্দনের বাড়িতে আসত। চন্দন মণ্ডল সিপিএম করত। সব রাজনৈতিক দলের নেতারা চন্দনের বাড়িতে আসতেন।”
উপেন বিশ্বাস প্রসঙ্গে অনুপ বলেন, “উপেন বাবু কোনও চক্রান্ত করেননি, তিনি এক নম্বর লোক। উপেনবাবু একদম সঠিক কথা বলেছেন। বাঁচার তাগিদে সবাই মিথ্যে কথা বলে… গ্রামের ২০-২৫ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। আরও অনেকের চাকরি চলে যাবে। সাদা খাতা জমা দিয়ে এই গ্রামের অনেকে চাকরি পেয়েছে। গ্রামের শিক্ষিত ছেলেরা চাকরি পায়নি।”
অন্যদিকে অরবিন্দ বিশ্বাস নামে মামাভাগ্নে গ্রামের আরও এক বাসিন্দা জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের পাঁচজনকে চাকরি দেওয়ার নামে ৪৪ লাখ টাকা নিয়েছেন চন্দন। তিনি বলেন, “দু’বছর আগে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরত চাইলেও দিত না। এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।”
অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি অনুযায়ী চাকরির পদ হিসেবে মূল্য নির্ধারিত ছিল। তিনি বলেন, “গ্রুপ ডি-র জন্য ১২ লাখ, প্রাথমিক শিক্ষকরে জন্য ১২ লাখ করে টাকা নিয়েছে। প্রাইমারির জন্য অগ্রিম ৫ লাখ টাকা করে নিয়েছে। আমরা জমি বিক্রি করে টাকা চেয়েছি। চন্দনের বাড়িতে এখন কেউ থাকে না। তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যও চাকরি পেয়ে। চন্দন আমার দূর সম্পর্কের মামা।”