বৃহস্পতিবার বাবার সাথে মোটর বাইকে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হাতি আক্রমণে মৃত্যু হয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া মান্তাদরি গ্রামপঞ্চায়েতের মহারাজা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি দলছুট হাতির আক্রমণের মুখে পরে বিষ্ণু ও তাঁর ছেলে অর্জুন।
হাতির আক্রমণের মুখে পড়ে গুরুতর জখম হয় অর্জুন। তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিন বিষ্ণু বলেন, “আজকে ছেলে শ্রাদ্ধ করলাম। হাতির আক্রমণে ছেলের মৃত্যু হয়। ছেলের মৃত্যুর দিন ৩০ হাজার ও পরবর্তীকালে ৫ লাখ টাকার সাহায্য করা হয়। হাতি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবেই। তাড়িয়ে দিলে পরে আবার ফিরে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয় এই হাতিকে বেঁধে রাখা উচিত। উন্মত্ত হাতিটিকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সরকারের তরফে অনুমতি না পেলে আমরা কখনও হাতির উপর গুলি চালাতে পারব না।”
হাতির হামলার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পর নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রের বাড়িতে যান জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদার বসু, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সহ পুলিশ এবং বন দপ্তরের একাধিক আধিকারিক।
অর্জুনের মৃত্যুর বনাঞ্চলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাসের বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। বাসে করে তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। হাতিতে পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর সময় উত্তরবঙ্গেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনায়। হাতি দলছুট হয়ে গেলে তাঁদের মাথার আর কোনও ঠিক ঠিকানা থাকে না। সরকার সবরকমভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।”
