এই সময়, ব্যারাকপুর: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুনের মামলায় এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে সাক্ষ্য দিলেন নিহত কাউন্সিলারের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। মীনাক্ষী আদালতকে জানান, অনুপমকে খুন করার একমাস আগে অমিত পণ্ডিত তাঁদের ফ্ল্যাটে আসেন। রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলেন অমিত। মীনাক্ষীর দাবি, অনুপমকে খুনের আগে এলাকা রেইকি করতে বেরিয়ে তাঁদের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন অমিত।

উল্লেখ্য, অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে অনুপমকে গুলি করে খুন করেন। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ সন্ধেয় আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডে গুলি করে খুন করা হয় সেই সময়ের সদ্য নির্বাচিত পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্তকে। সেই মামলায় সোমবার ব্যারাকপুর আদালতের থার্ড অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ অরূপ রায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিলেন অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত।

Koustav Bagchi : কৌস্তভকে সুরক্ষা: আপত্তি সিআরপিএফের
এই নিয়ে এই মামলায় ন’জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এ দিন দু’দফায় প্রায় তিন ঘন্টা মীনাক্ষীর সাক্ষ্য নেয় আদালত। সাক্ষ্যপর্বে আদালতকক্ষে এক সময় চোখে জল চলে আসে মীনাক্ষীর।

এ দিন আদালতে মীনাক্ষী বলেন, “যে অমিত পণ্ডিত খুন করেছিল অনুপমকে, সে আমাদের ফ্ল্যাটে এসেছিল। স্বামী খুন হওয়ার এক মাস আগে অমিত আমাদের ফ্ল্যাটে আসে। বলে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট লাগবে। অনুপম তখন ঘুমচ্ছিল। ওকে ফ্ল্যাটের নীচের একটি দোকান থেকে আরসি নিতে বলেছিলাম। পরে জানতে পারি রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট না নিয়েই অমিত চলে গিয়েছিল।”

Fire Incident: মহেশতলার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত্যু তিন জনের
মীনাক্ষী তা থেকে অনুমান করছেন রেইকি করতেই এসেছিলেন অমিত। পরে অনুপম খুন হওয়ার রাতেই হোগলা বনে লুকিয়ে থাকা অমিত পণ্ডিত ধরা পড়লে মীনাক্ষী তাঁকে চিনতে পারেন বলে আদালতে জানান। মীনাক্ষী আদালতকে আরও জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি একদমই তাঁর স্বামীকে সহ্য করতে পারতেন না। অনুপম এলাকায় অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় বাপির চক্ষুশূল ছিলেন।

মীনাক্ষীর কথায়, “২০২০ সালের মে মাসে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুপমকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বাপি। সেই মামলায় বাপির বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়ে। বাপি, অমিতরা মিলেই আমার স্বামীকে খুন করেছে।” প্রসঙ্গত, বাপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি-ই অমিতকে খুনের সুপারি দিয়েছিলেন।

Trinamool Congress : এলাকা উন্নয়নের টাকায় কেনা হল বিলাসবহুল স্পিডবোট! বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সত্যব্রত দাস বলেন, “নিহত অনুপমের স্ত্রীর সাক্ষ্য এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” এ দিন যখন মীনাক্ষীর সাক্ষ্য চলছিল তখন এজলাসের লকআপে চুপচাপ দাঁড়িয়েছিলেন ধৃত বাপি, অমিত এবং জিয়ারুল মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version