এদিন কালীঘাটের (Kalighat) বৈঠকে সেই সমস্ত প্রসঙ্গ তুলেই কাজল শেখকে কার্যত ধমক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, কাজলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কাজল তুই সবেতেই বেশি কথা বলছিস। এরপর বললে কিন্তু আমি শোকজ করব ।” তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে এই কথা শোনার পর এক কথায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল কাজল শেখ। তবে আর পাঁচ জনের মতন তিনিও তাঁর মুখের ওপর কিছুটি বলতে পারেননি।
বীরভূমে ‘কাজল ঝড়’ উঠবে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন নানুরের এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু এমন কথাবার্তা যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দ নন, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। এর আগে কোর কমিটির ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন নানুরের বিধায়ক কাজল শেখ। সেসব জিনিসই শীর্ষ নেতৃত্বের নদরে আসার ভর্ৎসিত হন তিনি।
পাশাপাশি, বীরভূমের নেতাদের তৃণমূল সুপ্রিমো নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহের জেলায় কোর কমিটির বৈঠক করার। এছাড়াও জেলার নেতারা যাতে নিজেদের মধ্যে কোন ঝগড়াঝাঁটি না করেন সে বিষয়েও দিয়েছেন কড়া বার্তা। বীরভূমের তৃণমূলের সব বিধায়ক, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি, ব্লক নেতৃত্ব মিলিয়ে ৩৫০ জন এদিন কালীঘাটে বৈঠকে এসেছিলেন।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) পদ থেকে সরানো হলেও গোরু পাচারে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দল। তাঁকে বীরভূম সভাপতি পদে বহাল রেখেছে তৃণমূল। এমনকী, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরও একাধিকবার তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর মুখে। এদিনই নিরঙ্কুশ রইল বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ।