অনুব্রত মণ্ডলকে মোটেই ‘মিস’ করছি না। কেষ্টবিহীন লালমাটির জেলায় সব কিছু খুব ভালোই চলছে। বিস্ফোরক দাবি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই অবশ্য এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন তিনি। বলেন, মজা করছি …।

গোরু পাচার মামলায় বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারির পরও তাঁকে পদ থেকে সরাননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে খাতায় কলমে এখনও বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কেষ্ট।

কিন্তু সামনেই পঞ্চায়েত ভোট থাকায় অনুব্রতহীন বীরভূমে দলের সংগঠন মজবুত করতে কোর কমিটি তৈরি করছে ঘাস-ফুল শিবির। রবিবার প্রথমবার বৈঠকে বসেন কোর কমিটির ৯ সদস্য।

Cow smuggling case: তিহাড়েই রোজা পালন, হাজিরা নিয়ে বিশেষ আর্জি এনামুল ও অনুব্রত দেহরক্ষীর
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে হাসতে হাসতে শতাব্দী রায় বলেন, “অনুব্রতকে মিস করছি না। বীরভূমের সব কিছুই খুব ভালোই চলছে।”

কেন তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে মিস করছেন না? এর পরই সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শতাব্দী কে। ‘আমি তো মজা করে বললাম’। সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন বীরভূমের সাংসদ।

গোরু পাচার মামলায় CBI, ED-র হাতে গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত বীরভূম তৃণমূলে সংগঠনে শেষ কথা বলতেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের সংগঠন মজবুত রাখতে প্রায়ই বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করতেন তিনি।

Anubrata Mondal: আসানসোলে ফেরার কাতর আর্জি, আদালতে আবেদন তিহাড় বন্দি অনুব্রতর
এর পাশাপাশি, ভোট এলেই বুথস্তরের কর্মিসভায় জোর দিতেন কেষ্ট। তৃণমূলের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা বা বিধানসভা — নির্বাচন ঘোষণার ৬-৮ মাস আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে ঘুরতেন অনুব্রত মণ্ডল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটেও তাই অনুব্রত মণ্ডলের নাম ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর নামে ভোট চাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছে ঘাস-ফুল শিবির। সেই কারণেই ভিন রাজ্যে জেলবন্দি থাকা কেষ্টকে জেলা সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হয়েছে।

এদিন এই ইস্যুতে ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে শতাব্দী রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে জেনেই অনুব্রতকে সভাপতি রেখে দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বীরভূমের সংগঠন যে তিনি নিজে দেখবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর আর কোনও সমস্যা হবে না।”

Anubrata Mondal Latest News : বীরভূমের সিংহাসনে অনুব্রতই, পঞ্চায়েতে ‘সেনাপতি’-দের বাছলেন মমতা
চলতি বছরের দোলের দিন আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’দফায় ED হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর গত মঙ্গলবার তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

এর পর থেকেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন কেষ্ট। সূত্রের খবর, আসানসোলে জেলে ফিরতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে। ,



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version