সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে ২০০৪ সালে এই রাজ্যে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের মূল স্রোতে ফেরাতে শিক্ষামিত্র নিয়োগ করা হয়। নিয়মিত তাঁদের ভাতা দেওয়া হতো। ২০০৮ ও ২০১০ সালে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, শিক্ষামিত্ররা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। কয়েক হাজার শিক্ষাকর্মী সারা রাজ্যের জেলাগুলিতে নিযুক্ত হন।
কিন্তু ২০১৩ সালে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার শিক্ষামিত্রদের কাজের মেয়াদ দু’বছরে বেঁধে দেয়। ফলে যাঁদের কাজের মেয়াদ দু’বছর পেরিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা আর বেতন পাননি। অনেকে কাজ ছেড়ে দেন। কেউ কেউ কাজ করে গেলেও বেতন পাচ্ছেন না। মামলাকারী কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসের আইনজীবী শামিম আহমেদ অভিযোগ করেন, আগে ৬০ বছর কাজের মেয়াদ বলেও পরে তা সরকার বদলাতে পারে না। তা ছাড়া শিক্ষামিত্ররা পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে মূল স্রোতে ফেরানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
আইনজীবীদের বক্তব্য, এই মামলায় আদালতের নির্দেশের ফলে ২০১৪ থেকে যাঁরা কাজ করেও টাকা পাননি, তাঁদের এরিয়ার-সহ কাজে ফেরার পথ খুলল। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শিক্ষামিত্রদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার আগে রাজ্যকে স্পষ্ট করতে হবে, কোন আইনে তাঁদের এই অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যাঁদের চাকরি ৬০ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, তাঁদের চাকরি এ ভাবে কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্রে বিভ্রান্তিকর ও বৈষম্যমূলক।