এই সময়:উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে দু’বার ইন্টারভিউয়ে বসা প্রার্থীদের অবস্থান-ধর্না বুধবার ১৪৫ দিনে পড়ল। গত ১৭ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উচ্চপ্রাথমিক সংক্রান্ত মামলার শুনানি-পর্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টেরই গত ৩০ সেপ্টেম্বরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে কমিশন। নিয়োগ-প্রক্রিয়া নির্ভুল করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কমিশন তা-ও জানায় হলফনামা দিয়ে।

Recruitment Scam : সব নিয়োগ-মামলার শুনানিই সুপ্রিম কোর্টে চান কর্মচ্যুতরা
আদালত কমিশনের হলফনামা এবং অতিরিক্ত হলফনামার প্রতিলিপি মামলার সব পক্ষের আইনজীবীকে দিতে বলে। মামলাকারীদের আইনজীবীরা চাইলে পাল্টা হলফনামাও দিতে পারেন বলে আদালত জানিয়ে দেয়। ১১ মে দুপুর দুটোর ফের শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। এই আইনি টানাপড়েনের মধ্যেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, গ্রামাঞ্চলের জুনিয়র হাইস্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে।

Recruitment Scam : OMR নষ্ট হলে কারচুপির প্রমাণ কী ভাবে: শীর্ষ আদালত
স্কুলগুলি বাঁচাতে উচ্চপ্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য, ‘দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে কোনও নিয়োগ হয়নি। ২০১৩-র অক্টোবরে শেষ বার নিয়োগ হয়েছিল।’ দ্রুত প্যানেল প্রকাশ, যোগ্য প্রার্থীদের কাউন্সেলিং ও জয়েনিংয়ের দাবিতে ৮ মে বেলা ১টায় কলকাতা অভিযানেরও ডাক দিয়েছে মঞ্চ।

Job Scam Case : এবার পুরসভাগুলিতেও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে CBI, নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্য দিকে, নবম-দ্বাদশেও অতি দ্রুত নিয়োগের আর্জি জানিয়েছেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান-ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত অথচ এখনও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া সাড়ে পাঁচ হাজার বৈধ চাকরিপ্রার্থীকে আইনের জটিলতায় নিয়োগ করেনি রাজ্য। এই সাড়ে পাঁচ হাজার চাকরিপ্রার্থীর একাংশ তৃতীয় দফায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৭৭৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। দ্রুত তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক সুদীপ মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version