মল্লিকার এমন ফলাফলে খুশি স্কুলের শিক্ষিকারা সহ গোটা এলাকার বাসিন্দারা। মল্লিকা রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে এমন খবর পাওয়ার পরেই স্কুল চত্বরে ভিড় জমান অনেকেই। মহাকালগুড়ি বালিকা বিদ্যালয় থেকে সম্বর্ধনা জানান স্কুলের শিক্ষিকারা। এছাড়াও স্কুল প্রাঙ্গণে তাকে সংবর্ধনা জানান শামুকতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিষেক ভট্টাচার্য। এছাড়াও রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে সম্বর্ধনা জানান।
আগামী দিনে তার ইচ্ছা শিক্ষিকা হওয়ার। মল্লিকার বাড়ি স্কুলডাঙ্গা বাকলা এলাকায়। বাবা গত হয়েছেন পাঁচ বছর আগে। তিন বোন, মা, ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে নিয়েই তাঁদের সংসার। মা বাড়িতে বসেই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান। তাছাড়া বন্ধন ব্যাংক থেকে লোন তুলে বাড়িতেই স্টেশনারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। তাছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে স্টেশনারী দ্রব্য বিক্রি করেন সাইকেলে করে।
পাঁচ বছর আগে মল্লিকার বাবা মারা যান শারীরিক অসুস্থতায় তখন তার ছোট্ট বোনটির বয়স ছিল ১৭ দিন । কঠিন পরিস্থিতিতে মল্লিকার মা তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে লড়াই করে সংসার টিকিয়ে রেখেছেন। মল্লিকা দশম স্থান অধিকার করেছে আর এই আনন্দে হাসি ফুটেছে তাঁর মায়ের মুখে।
আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে এবার একাধিক ছাত্র ছাত্রী মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৯০ নাম্বার পেয়ে রাজ্যে সপ্তম আলিপুরদুয়ার ম্যাকোলিয়াম উচ্চতর বিদ্যালয়ের ছাত্র সন্দীপ ঘোষ। আগামী দিনে অংক অথবা স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে রিচার্জ করতে চায় সন্দীপ। বাবা পেশায় ফটোগ্রাফি ও মুদি দোকানের ব্যবসায়ী। দিনে ৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে সন্দীপ।
এর পাশাপাশি, উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে আলিপুরদুয়ার জেলার কামাখ্যাগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সহেলী আহামেদ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রী সহ বিশিষ্ট জনেরা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকারে সহেলি। এই ফলাফলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি সহেলী আহামেদ বলেন ভবিষ্যৎতে তিনি অধ্যাপিকা হতে চান তাঁর এই সাফল্যে খুশী তাঁর বাবা মা সহ শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই সাফল্য খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশী কামাখ্যাগুড়িবাসী।