সেখানেই জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ওকে (অভিষেক) কে মারতে যাবে! আমরা মশা মেরে হাত গন্ধ করিনা। স্ট্যাম্প মারা চোর একটা। কয়লা চোর, চাকরি চোর। ওর পরিচয় কি? ও হল শুধু পিসির ভাইপো। ব্যস আর কোনও পরিচয় নেই।”
এদিন শুভেন্দু মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রীর এগরা যাত্রা নিয়েও। এই নিয়েও কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “আজকে ভানু বাগের শ্রাদ্ধের কাজ চলছে। সেই কারণেই মাননীয়া সেখানে গিয়েছেন।” সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বাজি কারখানায় মৃতদের যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃতদের প্রতি ন্যুনতম সহানুভূতি থাকলে উনি চিফ মিনিস্টার রিলিফ ফান্ড থেকে তাঁদের পরিবারকে টাকা দিতেন।”
এছাড়াও তিনি এদিন মালদায় দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়েও। বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতারা এখানকার সংখ্যালঘুদের বলেছিলেন যে BJP ক্ষমতায় এলে সবাইকে ডিটেনশন সেন্টারে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে NRC নিয়েও মিথ্যে ও ভুল বোঝানো হয়েছিল। সেই কারণেই এখানে ৮টা আসন পেয়েছে ওরা।”
তিনি আরও বলেন, “এসব ভুল বুঝিয়ে, BJP জুজু দেখিয়ে আসলে সংখ্যালঘুদের গরীব করে রেখেছে তৃণমূল। দেখবেন দেশের যে কোনও জায়গাতেই দুর্ঘটনায় রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাওয়ার খবর এলে দেখা যায় একজন সংখ্যালঘু মারা গিয়েছেন।”
এদিন তৃণমূলের পাশাপাশি CPIM ও কংগ্রেসকেও একযোগে আক্রমণ করেন। বলেন, “২০১১ সাল থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা ছিল। রাজ্য সরকারের কোন বিরোধিতা করেছে ওরা? সব সেটিং বিরোধী দলনেতা ছিল। আর এখন দেখুন। BJP-র বিরোধী দলনেতা। কিভাবে BJP তৃণমূলের দুর্নীতির বিরোধিতা করছে রাজ্যে। তাই তো মাননীয়া আর তাঁর ভাইপো এত গালমন্দ করেন BJP-কে। কারণ। মানুষের সামনে ওদের মুখোশ আমরা খুলে দিয়েছি। আর আমরা বিরোধী হিসেবে সফল বলেই কংগ্রেস ও CPIM রাজ্যে মিছিল বের করতে পারছে। ওদের একেবারে বিশ্বাস করবেন না।”
সভা শেষে ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলে শুভেন্দু ফের ডবল ইঞ্জিন সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন।