Singer KK Death, দেবারতি ঘোষ: ঠিক একবছর আগে কলকাতায় পরপর দুদিন কনসার্ট করছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নথ, যিনি কেকে নামেই জনপ্রিয়। নেটপাড়াতেও এই কনসার্ট ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। কলকাতার শ্রোতারা যখন কেকের গানে মুগ্ধ সেই রাতেই ভেসে এল দুঃসংবাদ। কার্যত কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়েছে একটা গোটা জেনারেশন। কিন্তু এই শোকের মাঝেই রাগে ফুঁসতে থাকেন অনুরাগীরা। কেন এই বিপর্যয়, যেখানে প্রাণ হারালেন তাঁদের প্রিয় গায়ক। তারপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গেছে, কেটে গেছে একটা গোটা বছর।
আরও পড়ুন- Shaan on KK: ‘কখনও ভাবিনি কেকে-র স্মৃতিচারণে ইয়ারোঁ দোস্তি গানটা গাইব!’ চোখে জল শানের…
৩১ মে, ২০২২ উল্টোডাঙার স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। অনুষ্ঠান করে হোটেলে ফিরে সাময়িক অস্বস্তি, তারপরেই জ্ঞান হারান গায়ক। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রশ্ন ওঠে বহু। ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার কেকে-র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে এবার কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী এবং কলেজের যৌথ উদ্যোগে বসানো হলো তাঁর মূর্তি। কলেজ সংলগ্ন একটি পুরো উদ্যানে বসানো হলো এই মূর্তি। কাউন্সিলরের তরফে কলেজের অধ্যক্ষকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক কথাতেই রাজি হয়ে যান অধ্যক্ষ। তারপরেই তাঁকে স্মরণে রাখতে এই উদ্যোগ।
স্মৃতি দুঃখের হলেও কেকের নামের সঙ্গে যে কলেজের নামটা জড়িয়ে গেল তা মানছেন অধ্যক্ষ মনি শঙ্কর রায়। ভবিষ্যতে তাঁকে স্মরণ রাখতেই এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে কলেজ, এমনটাই জানালেন তিনি। তিনি মেনে নিলেন যে এতটা ভিড় হয়ে যাবে, এত মানুষের জমায়েত হবে তা আগে থেকে অনুমান করতে পারেননি তারা। ভবিষ্যতে জুলাইয়ের পর এই বছরও ফেস্ট হবে কলেজের তবে এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখা হবে যা গত এক বছর আগে তাঁদের চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে। বুধবার ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেকের স্মৃতিচারণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ছাত্র-ছাত্রীরা এবং এলাকার কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন- Pushpa 2: পথ দুর্ঘটনার মুখে ‘পুষ্পা ২’-এর গোটা টিম, কেমন আছেন অল্লু অর্জুন?
প্রসঙ্গত, কেকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নেটপাড়া আক্রান্ত সেই চেনা পরিচিত কেকে-জ্বরে। টাইমলাইনে ভেসে আসছে কেকের জনপ্রিয় গানও। কেকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রিয়বন্ধু বাঙালি গায়ক শান বলেন, ‘এক বছর কেটে গেল। সময় কীভাবে চলে যায়! কিন্তু কেকে এখনও ওর গান দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। আমি সবসময়েই ওর গানে প্রাণের স্পন্দন পাই। এখন আরও বেশি করে পাই, যখন ও আর আমাদের মাঝে নেই। আমার মনে হয়, ও যেন বলছে যে ও আমাদের মধ্যেই আছে, আমাদের মনে আছে। এখনও যখন স্টেজে ওর আর আমার ডুয়েট কোনও গান গাই, খুবই ইমোশনাল হয়ে পড়ি। আমি কখনও ভাবিনি যে ইয়ারোঁ দোস্তি আমায় কেকে-র স্মৃতিতে গাইতে হবে।’