বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল আসানসোলের ছেলে। জার্মানিতে জোড়া পদক জিতে আসানসোলে ফিরল সোনার ছেলে অভিনব সাউ। কাকতালীয়ভাবে অলিম্পিক জয়ী ভারতীয় শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা যে বছর অলিম্পিকে সোনা পেয়েছিলেন সেই বছরই জন্ম অভিনবের। অলিম্পিক জয়ীর নামেই তাঁর নামকরণ। সেই অভিনবের কৃতত্বে মুখে হাসি পশ্চিম বর্ধমান জেলার।

এবার আইএসএসএফ-এর জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সোনা জয় করল অভিনব সাউ। শুধু তাই নয় দশ মিটার সিঙ্গেলসেও রুপো জয় করেছে অভিনব। গত রবিবার এবং সোমবার জার্মানিতে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিনব আসানসোলে ফেরে। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল রাইফেল ক্লাবের সভাপতি থেকে শুরু করে বহু সদস্য।

Wrestler Protest: ‘কুস্তিগীরদের সঙ্গে বর্বর আচরণ’, দিল্লি পুলিশের নিন্দায় বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটাররা
আসানসোল পুরনিগমের প্রতিনিধিরা অভিনবকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আসানসোলের এই সোনার ছেলের জন্য গর্বিত সকলেই। সবার দাবি, সে এখন আসানসোলের গর্ব।

অভিনবের বয়স বর্তমানে ১৬ বছর। আসানসোলের সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাবা রূপেশ সাউ পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। নিজে এক সময় শ্যুটার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে শ্যুটিংয়ের মতো ব্যায়সাপেক্ষ ক্রীড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অলিম্পিকের সোনাজয়ীর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েছে ছেলের নাম অভিনব রেখেছিলেন রূপেশ। ভর্তি করেছিলেন আসানসোল রাইফেল ক্লাবে।

Coal Scam: মলয় ঘনিষ্ঠ শঙ্করকে তলব ED-র, আদালতের মুহুরী থেকে মন্ত্রীর কাছের বৃত্তে কী ভাবে?
ছোটো থেকেই অভিনব বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চমক দিতে শুরু করে। জাতীয় স্তরের পুরস্কার নিয়ে আসে। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল স্তরে বহু পদক জোটে। কিন্তু শ্যুটিং একটি ব্যায়সাপেক্ষ ক্রীড়া। বাবা রূপেশ সাউ সামান্য গৃহ শিক্ষকতা করেন। তারপক্ষে কতদূর এই ক্রীড়া টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে রূপেশের পরিবার। ছেলের এগিয়ে যাওয়ার পথে আর্থিক সংকট বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো? এই নিয়ে এখন চিন্তিত পরিবার।

পরিবারের আশা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিলে অভিনব আরও দূর যেতে পারবেন। তাঁর বাবা রূপেশ বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যদি পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমার ছেলে আরও অনেক দূর যেতে পারবে। আমরা চাই সরকার আমাদের সাহায্য করুক। কারণ শ্যুটিং খুব ব্যায়সাপেক্ষ ক্রীড়া।’

Purba Medinipur : এবার অনলাইনে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, অভিনব উদ্যোগ নন্দীগ্রামে
অভিনব বলে, ‘আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। আমি আগেও ওখানে গিয়েছিলাম। মিক্সড টিমে সোনা পেয়েছি আমি। এই সাফল্যের পর সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই খুশি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version