এই বিষয়ে BJP বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, শুধু তাঁকে নয়, তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের কেও আক্রমণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও চার জন BJP কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “ওই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
আজকে আমরা এখানে দল বেঁধে মনোনয়ন জমা দিতে আসছিলাম। কিন্তু এখানে আসার মুখে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের আক্রমণ করেন। আমাদের বেশ কিছু কর্মী জখম হয়েছেন। আসলে সেই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট ফিরিয়ে আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।
আজকে যেরকম প্রতিরোধ করেছি, তৃণমূলের গুণ্ডাদের হটিয়ে দিয়েছি, সেভাবেই আগামী সময়ে একই কাজ করব”। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এবার আমাদের আন্দোলন আরও বড় হবে। আজ পুলিশ প্রশাসন আমাদের কোনওরকম সাহায্য করেনি, পাশে এসে দাঁড়ায়নি।
এবার আমরা কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের মতো আন্দোলন করব, প্রতিরোধ করব”। রবিবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে BDO অফিস গুলির ১ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তারপরেও তৃণমূলের এই জমায়েত ও BJP কর্মীদের মারধরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ঝেড়েছেন BJP কর্মী সমর্থকরা। এর আগে মুর্শিদাবাদ, কাটোয়া আসানসোল সহ একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে একাধিক অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। ডোমকলে তৃণমূল নেতার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দু’দিন আগে এই বাঁকুড়াতেই মেজিয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। মনোনয়ন পত্রের অভাবে দীর্ঘক্ষণ BDO অফিসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বিরোধীদের।