এইদিন বিকেল থেকে বাড়ি ফিরে একের পর এক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রত্যেকেরই বমি ও পায়খানা শুরু হয়। এরপরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাদের সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সকলেরই বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। হাসপাতালে শিশু বিভাগে তারা সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে অনেকটাই সুস্থ রয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে প্রত্যেকের চিকিৎসা দ্রুত শুরু করে দেওয়া হয়।
পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে স্কুলের পাশে থাকা একটি ভেরেন্ডা গাছ থেকে বেশ কিছু ফল সংগ্রহ করে। প্রত্যেকে মিলে সেই ফল খেয়ে ফেলে পড়ুয়ারা। ফল খেয়ে নেওয়ার পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে স্কুলে থাকাকালীন বিষয়টি বোঝা যায়নি। কিন্তু স্কুলের পড়ুয়ারা বাড়ি ফেরার পরেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি করতে শুরু করেন অনেকেই। এরপরেই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
এক পড়ুয়ার মা বলেন, “বাড়িতে এসে থেকেই আমার বাচ্চাটা বলছিল গলাটা উসখুস করছে। ভাত খেল, তারপরেই বমি করে দিল। আমি প্রথমে গলাটা উসখুস করছে বলে ভেবেছিলাম ঠান্ডা লেগেছে।” এরপরেই অন্যান্য বাড়ি থেকেও একাধিক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে।
বাচ্চাদের প্রশ্ন করে জানা যায়, তারা ওই গাছের ফলটি খেয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের অসুস্থতা শুরু হয় বলে মনে করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্কুলের মধ্যেই ওই গাছটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের উদ্যোগে গাছটি কেটে ফেলা হোক, বলে আর্জি জানিয়েছেন অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকরা।