শিলিগুড়ির সুকান্তনগরের বাসিন্দা অভিজিৎ সাহা, পেশায় একজন শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা রোবোটিক্স নিয়ে। এছাড়াও এই সংক্রান্ত কোর্সও করেছেন তিনি। আর এবার সেই পড়াশোনা ও অধ্যাবসায়ের ওপর ভর করেই বানিয়ে ফেললেন আস্ত একখানা ডিজিটাল রথ। রথের দিনে অভিজিতবাবুর এই আবিষ্কার নজর কাড়ল সাধারণ মানুষের। বিশেষ এই রথ দেখে বেজায় খুশি খুদেরাও। অভিজিত সাহা নিজের চেষ্টাতেই বানিয়েছেন এই রথ, যা মোবাইলে একটি অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে।
এদিন শিলিগুড়ির ইসকন মন্দিরে নিজের তৈরি এই রথ নিয়ে পৌঁছে যান অভিজিত সাহা। প্রথমবারের জন্য সেই রথ দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান উপস্থিত মানুষজন। কীভাবে সেই রথ চলছে তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন দেখা দেয় মানুষের মনে। এদিকে অনেকে আবার সেই রথ ছুঁয়েই প্রণাম করতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবার সেই রথে টাকাও দেন। যদিও অভিজিতবাবু জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র প্রযুক্তিকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্যই এই রথটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছি, কোর্সও করেছি। অনেকেই এমনভাবে বেশকিছু গাড়ি বানিয়েছেন। তবে রথ বানাননি। আমি সেই চেষ্টা করেছি। এদিন ইসকন মন্দিরে বেশ কয়েকজন সেই রথের সঙ্গে ছবিও তোলেন। সঙ্গে দেখেন কীভাবে চলছে রথ।’
অন্যদিকে এদিন দুপুরে শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির থেকেও শুরু হয় রথযাত্রা। প্রতিবারের মতো এবারও কয়েক হাজার মানুষ ইসকনের রথ টানার জন্য ভিড় জমান। এদিন সেখান থেকে রথ বেরিয়ে শিলিগুড়ির বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। এই বছর ডাবগ্রাম সূর্যনগর ময়দানে জগন্নাথদেবর মাসির বাড়ি বানান হয়েছে। সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল প্যান্ডেলও। সেখানেই থাকবেন জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রা। এছাড়া রথয়াত্রা উপলক্ষে সেখানে মেলার আয়োজনও করা হয়েছে ইসকনের পক্ষ থেকে। এদিন রথযাত্রার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও মহকুমাশাসক-সহ বিশিষ্ট মানুষেরা। এককথায় রথযাত্রা উপলক্ষে মাতোয়ারা গোটা শিলিগুড়ি।