Panchayat Election : নির্বাচনের ডিউটি থেকে বাঁচতে একাধিক জায়গায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে সরকারি কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে, তাতে নির্বাচনের ডিউটি নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে। এবার সেই আতঙ্ক থেকে বাঁচতে অবাক কাণ্ড লক্ষ্য করা গেল ফালাকাটায়। একটি আসনে দেখা গেল ২২ টি নির্দল প্রার্থী দাড়িয়েছেন।

Panchayat Election 2023 : ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল দেগঙ্গা, ব্যাপক বোমাবাজি এলাকায়
আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির গুরুত্বপূর্ণ আসন ১২ নম্বর আসনটি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী তো রয়েছেনই। তবে এই আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ২২ জন দাঁড়িয়েছেন। আর পেশাগত যোগ্যতার দিক থেকে এই ২২ জন প্রার্থীই শিক্ষক।

Panchayat Election 2023 : BJP প্রার্থীকে প্রচারে বাধা! হুমকির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
তবে আরও একটি অবাক কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২২ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে একই পরিবার থেকে রয়েছেন ৭ জন। স্থানীয় জটেশ্বরে ‘পাল পরিবার’ থেকে সাতজন নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে গোটা ঘটনাটি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নির্বাচনী ডিউটি থেকে বাঁচতেই অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, প্রশ্ন উঠছে এমনটাই।
এরকমই ঘটনা দু’দিন আগেই লক্ষ্য করা হয়েছিল আলিপুরদুয়ার জেলায়। আলিপুরদুয়ার জেলার মনোনয়ন পর্ব মেটার পর দেখা যায়, মনোনয়ন পর্বের স্ক্রুটিনি হতে চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০০ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

Panchayat Election 2023 : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন BJP প্রার্থী! জিতেই যোগ দিলেন তৃণমূলে, ভোটরঙ্গ বীরভূমে
এতজন নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা দেখে অবাক হয়ে যান অনেকেই। তবে ৮০০ জন প্রার্থীর মধ্যে দেখা যায় ২০০ জন এমন রয়েছেন যাঁরা পেশায় স্কুল শিক্ষক। কেউ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, কেউ আবার ‘মেডিকেল সার্টিফিকেট’ জোগাড় করত দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন, এরকম একাধিক ঘটনা উঠে আসতে থাকে গোটা জেলা থেকেই।

Panchayat Election 2023: মনোনয়ন তুলতে মাঝরাতে পুলিশ’ ভাইরাল ভিডিয়ো!

গোটা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, এটা এখন নিশ্চিত। যদিও প্রতি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার জন্য নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিক থেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
বিশেষত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি মনে করে এই নির্বাচনী ডিউটি থেকে সুকৌশলে সরে দাঁড়াতে চাইছেন অনেকেই। পাশাপাশি, নির্বাচনের প্রাক্কালে এরকম হিংসা, হানাহানির চিত্র দেখে ভয় ঢুকে গিয়েছে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে। সেই কারণেই কি একের পর এক জেলায় স্কুল শিক্ষকরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিচ্ছেন, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version