Panchayat Nirbachan 2023 : বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার নামানুসারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে একটি ব্লকের নামকরণ হয়। সেই ব্লক থেকেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ছেন সম্পর্কে মাতঙ্গিনী হাজরার নাতি রাজেশ হাজরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা পরিষদের লড়ার জন্য তাঁকে সুযোগ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Panchayat Election 2023 : ঘরে সম্পর্ক অটুট, ভোটযুদ্ধে মামা-ভাগ্নের লড়াই দেখতে মুখিয়ে নন্দীগ্রামবাসী
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা। সেই আমলে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গড়ে উঠেছিলে তমলুকে। তৎকালীন সরকারের সহযোগী ছিলেন মাতঙ্গিনী। তাঁর নামাঙ্কিত ব্লকের নামকরণ করা হয়েছে। আর সেই ব্লকেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ভারত স্বাধীন হওয়ার পেছনে যার অবদান সেই বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার নাতি।

West Bengal Election 2023: দলে জায়গা হবে না! ফের তৃণমূলে ৪৩‘নির্দল প্রার্থী’ বহিষ্কার
অনেকেই বলেন, শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক মানেই বিপ্লবীদের ঘাঁটি। এক সময় তমলুক এক নম্বর ও তমলুক দুই নম্বর ব্লক হিসেবেই পরিচিত ছিল। তৎকালীন তমলুক এক নম্বর ব্লকের বিডিও মহম্মদ ইগলাক হোসেন। তমলুক এক নম্বর ব্লক অফিসের নাম পরিবর্তে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণের প্রস্তাব পাঠান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নিকট।

Nandigram : ভোটের আগে হঠাৎ নন্দীগ্রামের IC বদল! &amp#39;কোনও লাভ হবে না&amp#39;, সাফ কথা শুভেন্দুর
ব্লক অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মভূমি এবং কর্মভূমি। সেই কারণেই ১৯৯৮ সালে তমলুক এক নম্বর ব্লকের নাম পরিবর্তন হয়ে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণ হয়। আর এবার ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বীর শহীদ মাতঙ্গী হাজরার শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কের নাতি রাজেশ হাজরা।
তবে তাঁর এবারই প্রথম রাজনীতিতে আসা, তা নয়। বর্তমানে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরা। রাজেশ বাবুর বাড়ির অদূরে রয়েছে বিশাল আকৃতির মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। বাড়ি থেকে বেরোলে বীরাঙ্গনার পায়ে প্রণাম করেই ভোট প্রচার শুরু করেন।

Suvendu Adhikari Deadline Theory: &amp#39;৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে…&amp#39;, TMC-কে আক্রমণ করে ফের ডেডলাইন তত্ত্ব শুভেন্দুর

অপরদিকে, বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী বামদেব গুছাইত। এলাকা উন্নয়ন ও দ্রুত কাজ করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প‍্যাটেলের হাত থেকে উন্নয়নমূলক পুরস্কার পান। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আর সেই ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান বামদেব গুছাইত।
বামদেব গুছাইত বলেন, “২০১৮ সালে আমাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেইনি। সেই ক্ষোভে আমি দল ছাড়ি, এই তৃণমূল আর করা যায় না।” তিনি জানান, আমি যা উন্নয়ন করেছি, গোটা শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মানুষ জানে। মডেল পঞ্চায়েত গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছি। আর সেই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাকে মানুষ ভোট দেবে।

Panchayat Election : উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু কর্মসংস্থান কই প্রশ্ন সিঙ্গুরে

পাশাপাশি এলাকার পরিচিত মুখ বাম নেতা কাশীনাথ মণ্ডলও লড়াই জারি রেখেছেন। বলা যায় এই কেন্দ্র থেকে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। এলাকার মানুষের সমর্থন নিয়ে আগামী পাঁচ বছর সাধারণ মানুষের কাজ করার সুযোগ পায়, কে পান সেটা দেখার অপেক্ষায় আর কিছুদিন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version