নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নীর যোগাযোগের সূত্রেই সায়নীকে ইডি তলব করে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সায়নী প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে সায়নীর যাওয়ার কথা ছিল, যদিও তিনি যাননি। ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এই গরহাজিরা নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উল্টোরথ ছিল, জগন্নাথ দেবের পুজো ছিল, হয়তো উপোস করেছিলেন। উপোস করে যদি দুর্বল লাগে, তা হলে কী করে প্রচারে যাবে? জেলায় গিয়ে হাঁটতে পারে নাকি? উপোস করলে প্রেসার কমতে পারে, দুর্বল লাগতে পারে।’ যদিও সায়নীর সঙ্গে তাঁর যে যোগাযোগ হয়নি কুণাল তা অস্বীকার করেননি। যদিও তৃণমূলের কর্মসূচিতে সায়নীর গরহাজিরা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে এদিন বলেন, ‘ইডি ডেকেছে, ভয় পেয়েছে হয়তো। এরপর একটা সিনেমা হবে সায়নী অন্তর্ধান রহস্য!’
গত ২২ জুন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রচার শুরু করেন। সায়নী পূর্ব বর্ধমানের গলসি-২ নম্বর ব্লকে প্রথম নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন। এই জেলাতেই তাঁর পরপর জনসভার সূচি ছিল। জামালপুরের কর্মসূচিতে গরহাজির হওয়ার আগে মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী, রায়নার মতো একাধিক ব্লকে নির্বাচনী প্রচার করেছেন সায়নী।
এই জেলায় যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন রাসবিহারী হালদার। সায়নী যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরেই রাসবিহারী পূর্ব বর্ধমান জেলায় যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ পান। সায়নীর সমর্থন থাকার কারণেই রাসবিহারী এই পদে উন্নীত হয়েছিলেন বলেও তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য। ইডির তদন্তের বিষয় নিয়ে তৃণমূল কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও কুণাল এদিন বলেন, ‘ইডির তলবের সময় বলে দিচ্ছে ভোটের মুখে হেনস্থা করতেই ডাকা হচ্ছে। এর আগে অভিষেককে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছে, কখনও অভিষেকের স্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে। পোস্ট পোল ভায়োলেন্সের মামলায় এতদিন বাদে এনআইএ দিয়ে নিচুতলার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। টাইমিং বলে দিচ্ছে, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে।’