নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে আসতে শুরু করেছে ইলিশ বোঝাই ট্রলার। গত ১৬ জুন থেকে সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হতেই এ বছর ভালো ইলিশ সংগ্রহের আশায় সমুদ্র পাড়ি দেন তাঁরা। নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে থেকে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত আসছে টন টন ইলিশ। সেখান থেকে ইলিশ পৌঁছে যাবে কলকাতা সহ রাজ্যের মাছের বাজারে।
হালকা বৃষ্টি এবং পূবালী হওয়ার কারণে ভালো পরিমাণ ইলিশ ধরার সুযোগ মিলেছে বলেই জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। মুখে হাসি মৎস্যজীবীদের। গত দু বছর কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। একদিকে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণের সময় মাছের বাজার অনেকটাই পড়তির দিকে ছিল। সেই লোকসানের এবার অনেকটাই ঘাটতি পূরণ হবে বলেই মনে করছে তাঁরা।
ইলিশ বাজারজাত হলে দামও অনেকটা কমের দিকে যাবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। বঙ্গোপাসাগরে জুলাইয়ের শুরুতে বড় কোনও দুর্যোগ, নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস ছিল না। ফলে আপাতত সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানান বেশিরভাগ মৎস্যজীবীরা। ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম বেধে দেওয়া হয়। নিয়ম মাফিক ইলিশ সংগ্রহ করে হাসি মুখে ফিরছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্য দফতরের তরফে এবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রত্যেক মৎস্যজীবীদের জাল ৯০ মিলিমিটার হতে হবে। পাশাপাশি ২৩ সেন্টিমিটার থেকে ছোট মাছ ধরা যাবে না। খোকা ইলিশ ধরার কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল মৎস্যজীবীদের। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের কাছে জিপিআরএস ডিভাইস রাখতে বলা হয়েছিল। ট্রলারগুলিতে লাইভ জ্যাকেট, লক বুকের মতো সিস্টেম রাখার নির্দেশ ছিল।
তবে প্রথম লটেই ভালো পরিমাণ ইলিশ পেয়ে খুশি ট্রলার মালিক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা। বাঙালির পাতে সারা বছরই এখন ইলিশ মিললেও বর্ষার প্রথম লগ্নের ইলিশ নিয়ে একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে রসনাপ্রেমীদের। দাম কিছুটা কমলেই মৎস্যপ্রেমী বঙ্গ সমাজ যে রকমারি ইলিশ ব্যঞ্জনে ডুব দিতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।