গণনার আগের রাতে স্ট্রং রুমে বিজেপি নেতার প্রবেশকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কোচবিহারের দিনহাটায়। তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে ধস্তাধস্তি। বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।

অভিযোগ, সোমবার রাত আটটা নাগাদ বিজেপি নেতা অজয় রায় স্ট্রংরুমে ঢুকে পড়েন। এই খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এলাকায় ঢুকলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্ট্রংরুমের বাইরে বিজেপি ও তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বাড়তে থাকে উত্তেজনা। এরই মাঝে ভাঙচুর করা হয় বিজেপি নেতার গাড়ি।

Rajiva Sinha : নির্বাচনে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে? যা বললেন রাজীব সিনহা…
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর অভিযোগ, ‘কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বিজেপির এক নেতা স্ট্রং রুমে ঢুকে পড়েছে। কী ভাবে ঢুকলো? বিডিওর সাসপেন্ডের দাবি জানাচ্ছি।’ অপরদিকে বিজেপি নেতা অজয় রায় বলেন, ‘দিন রিপোলিংয়ের ব্যালট ঢোকানোর জন্য দশটায় আমাদের আসতে বলা হয়। খবর পাই আটটার সময় স্ট্রং রুম খোলা হয়ে গিয়েছে। তাই এসেছি। প্রশাসন গোলমাল করছে।’

Panchayat Election Result : রাত পোহালেই গ্রামের ‘রায়’, কী ভাবে হবে গণনা?
প্রসঙ্গত , পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বছর প্রথম থেকেই সরগরম থেকেছে কোচবিহার। প্রায়শই এসেছে হিংসা ও সংঘর্ষের খবর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে। পরিস্থিতি এমন দিকে পৌঁছায় যে জেলায় যান খোদ রাজ্যপাল। বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নিহতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন।

Bankura Panchayat Election Result: ‘জিতবে BJP’, গণনার আগে বাঁকুড়ায় গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাসকে কটাক্ষ তৃণমূলের
মঙ্গলবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। মোট ৩৩৯টি কেন্দ্র সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোটের গণনা। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং একেবারে শেষে জেলা পরিষদের গণনা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হবে টেবিলেই। বকি দু’টো স্তরের ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রত্যেক স্তরে গণনা হবে দুই রাউন্ড করে। কিছু ক্ষেত্রে তা বাড়তেও পারে। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট গণনা হবে মোট ৬ রাউন্ড।

Howrah Panchayat Election Violence:পঞ্চায়েতে বুথের পর এবার স্ট্রংরুম লুঠের চেষ্টা! ডোমজুড়ে গণনা কেন্দ্রের পাঁচিল ভেঙে রাস্তা তৈরির অভিযোগ
সমগ্র গণনা প্রক্রিয়াই চলবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। গণনা কেন্দ্রের টেবিলে থাকবেন বিডিও, একজন কাউন্টিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কাউন্টিং অফিসার এবং গণনা এজেন্ট। এছাড়া প্রতি গণনা কেন্দ্র ব্লকপিছু থাকবেন একজন করে অবজারভার ও জেলাপিছু একজন স্পেশাল অবজারভার। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্ট দু’জনেরই থাকার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে থাকতে পারবেন শুধুই প্রার্থী। সেক্ষেত্রে এজেন্টর থাকার কোনও অনুমতি নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version