মরশুমের শুরু থেকেই এ বছর ভালো পরিমাণ ইলিশ আসতে শুরু করেছে মৎস্যজীবীদের জালে। রবিবার নামখানায় সমুদ্র থেকে প্রায় ২০০ ট্রলার এসে পৌঁছয়। ২০০ ট্রলার করে প্রায় ২ হাজার কেজি ইলিশ মাছ এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নামখানা থেকে ২ হাজার কেজি ইলিশ যায় কাকদ্বীপ বাজারে। সেখান থেকে মাছ ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এখন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ এসেছে। পাইকারি বাজারে মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। তবে মাছের আধিক্য বাড়ায় দাম আরও পড়তির দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে মাছের জোগান বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে আসার সম্ভাবনা দেখছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
রবিবার এত পরিমাণ মাছ এসে পৌঁছনোর পর ট্রাক থেকে ইলিশ নামানোর জন্য এতটা সময় অতিবাহিত হয় যে ১১৭ নং জাতীয় সড়কে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তবে সমুদ্রে ট্রলার আরও বেশিক্ষণ থাকতে পারলে আরও বেশি পরিমাণে মাছ আসার সম্ভাবনা ছিল বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, দুর্যোগের ঘনঘটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে সমুদ্রে হালকা বাতাস রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে জলের স্রোত রয়েছে। যে কারণে আরও বেশি পরিমাণে মাছের জোগান হওয়ার সম্ভাবনা। তবে হালকা বাতাস থাকার কারণে ট্রলার বেশিক্ষণ সমুদ্রে থাকার ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে ট্রলার দ্রুত পাড়ে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে।
গত ১৬ জুন থেকে চলতি মরশুমের ইলিশ মাছ ধরার জন্য রওনা দেয় ট্রলারগুলো। মৎস্য দফতর এবং কোস্ট গার্ডের তরফে মৎস্যজীবীদের সুরক্ষা প্রদানের একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। জুলাইয়ের মাঝামাঝি এখনও বড় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা না থাকায় বাজারে ইলিশের জোগান আরও বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবারে নগেন্দ্র বাজার মোড় থেকে ইলিশ নামানো হয়েছে বাজারে। বাঙালির ঘরে ঘরে ভাতের পাতে ইলিশ পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।