সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (East West Metro Kolkata) ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই অংশের কাজও শেষের পথে। ডিসেম্বরে উদ্বোধন হওয়ার কথা, তাই শেষ মুহূর্তের কাজ জোরকদমে চলছে। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো উদ্বোধনের আগেই হাওড়া ময়দানে বসানো হল ৮টি বিশেষ ধরনের ভাড়া সংগ্রহের গেট। ইতিমধ্যেই হাওড়া ময়দানে অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন বা এফসি গেট বসানো হয়ে গিয়েছে।

Esplanade Bus Stand : ধর্মতলা থেকে বাস স্ট্যান্ড না সরাতে বড় পদক্ষেপ! হাইকোর্টে জানাল রাজ্য
এফসি সিস্টেমে পরিচলিত গেট সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে বলে জানা গিয়েছে। মেট্রো রেলের এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এই অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন গেটগুলি সাধারণত কিউ আর কোড চালিত হবে। এই গেটের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যে ৪৫ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে অফিস টাইমে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে।

মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আটটি অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন গেটের মধ্যে চারটি গেট মেট্রোর কর্মী ও অফিস টাইমে যাত্রীদের বাইরে বেরনোর কাজে ব্যবহার করা হবে। এমনকী বিশেসভাবে সক্ষম কোনও যাত্রীর হুইলচেয়ারে করে যাওয়ার জন্য ওই আটটির মধ্য দুটি গেট বরাদ্দ করা হয়েছে। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, হাওড়া ময়দান মেট্রোস্টেশনে টেরাকোটার কাজও করা থাকবে। তব ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় মেট্রোস্টেশন তৈরির কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।

Kolkata Airport : প্লেন ধরবেন? কলকাতা এবার লন্ডন হয়ে যাচ্ছে
হাওড়া ময়দান, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন। বিগত এক বছর ধরে এই স্টেশনে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। সেখানে প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিনের দরজা এবং এলিভেটর ফিট করার কাজ চলছে। তবে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা অবধি আড়াই কিলোমিটার পথের সমস্যা দেখা দিয়েছে একাধিকবার। সেই কারণে সেক্টর ফাইভ থেকে গঙ্গার নীচ হয়ে হাওড়া ময়দান অবধি ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরুট এখনও চালু করা যায়নি। সেই কারণে অনেকেই মনে করছেন আদৌ ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হবে কি না, সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

Yatri Sathi App : ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপে অমিল হলুদ ট্যাক্সি! হাওড়া স্টেশনে চরম ভোগান্তি
এ প্রসঙ্গে সেক্টর ফাইভের এক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মতর যাত্রী অভিষেক দত্ত বলেন, ‘এখন তো সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর। সেখানে কলকাতা মেট্রোর তরফেও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অফিস টাইমে যাত্রীদের হয়রানি কমানো যায়, তাহলে আর মন্দ কী! এই পদক্ষেপের প্রতি তাই আমার সমর্থন রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version