Mohammad Salim: ফের সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রমণের তির থেকে বাদ গেলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইডি-এর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বয়ানকে উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামে স্মরণ সভার আয়োজন করে সিপিএম। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন আউশগ্রামের অমরপুর অঞ্চলের বিষ্ণুপুর গ্রামে ভোটকেন্দ্রের মধ্যেই তৃণমূল সিপিএম সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন কয়েকজন। ভোটের দিন মৃত্যু হয়েছিল বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা জখম সিপিএম কর্মী রাজিবুল হকের। তার স্মরণে বৃহস্পতিবার সভা হয় বিষ্ণপুর গ্রামে। সেই সভা মঞ্চ থেকেই শাসকদলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের নাম উল্লেখ করেও বেনজির কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম।
Mamata Banerjee News: ‘ছেলেটা পরশু ফিরেছে…যখন তখন আসছে!’ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিশানা মমতার

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘ভাইপো তো বিদেশে চলে গিয়েছিল। গতকাল, পরশু ইডি সব বাড়িতে গিয়ে রেইড করেছে।শিক্ষা নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার টাকা কালিঘাটে পিসি আর ভাইপোর খাতায় জমা আছে।সেই টাকা বিদেশি মডেলদের খাতা ভাড়া নিয়ে পাচার করেছে।’ সব হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন মহম্মদ সেলিম ।
ED Raid: গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত? চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত ইডির

এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন,’ইডি সিবিআই-কে বলেছি তোমরা বাংলার পুলিশের মত হয়ে যেও না। ওরা একটা লিস্ট দিয়েছে।
মমতা বলছে আমার বাড়িতে ওরা চলে আসছে। আসবে না কেন? ভাইপো তার বাবা মা সবার নাম আছে। বেকারদের লুঠ করা টাকা সব একটা কোম্পানিতে জমা হয়েছে। আমরা অপরাধী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু বিজেপি কি তা করবে?’ মলয় ঘটককেও কটাক্ষ করেন সেলিম। বলেন,’ শিক্ষক নিয়োগে তদন্ত হচ্ছে। পুরসভা সমবায়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। ঘটককে ডেকে পাঠিয়েছে বলে মন্ত্রী মলয় ঘটক হাসপাতালে। এভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পার পাবে না।’
Suvendu and Abhishek : ED প্রেস বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে শুভেন্দুর খোঁচা! ‘ED-র অফিসে কবে যাচ্ছেন?’ পালটা অভিষেকও

করমণ্ডল বিপর্যয় থেকে মিজোরামে ব্রিজ দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছে। এ রাজ্যে কাজ নেই,কাজের সন্ধানে অধিকাংশ গ্রামের ছেলেদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে , সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে যখনই কেউ মারা যায় তখন সরকার কিছু ঘোষণা করে বলে, আলাদা একটা চেয়ারম্যান করেছি বোর্ড করেছি কিন্তু কি করছে? কোন আইন আছে দেশের সরকারও সংবিধান অনুযায়ী এটি কেন্দ্রের তালিকা ইন্টার্নাল যারা মাইগ্রেন্ট হবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাবে। তাদের সেফটি সিকিউরিটি দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের আর রাজ্য সরকারের আইন আছে কে যাচ্ছে কোথায় যাচ্ছে তাদের রেজিস্ট্রেশন দরকার।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version