প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান কোনও নারী পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিল ওই নাবালিকা। চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশ থেকে। চক্রের লোকেরা নাবালিকাকে কাদারোড যৌনপল্লিতে নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বাংলাদেশের বাসিন্দা। বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। কাজ পাইয়ে দেবে বলে নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয়েছিল কাদারোড যৌনপল্লিতে। রবিবার রাতে পল্লিতে নাবালিকাকে ঘুরতে দেখে সেখানকার মহিলারা দুর্বারের প্রতিনিধিদের খবর দেন।
নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্বারের দুর্গাপুর শাখার দফতরে। সেখানে মেয়েটির পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। মেয়েটি কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে পারে নি। মেয়েটি জানায় তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। এরপর দুর্বারের প্রতিনিধিরা স্থানীয় ওয়াড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেন মেয়েটিকে। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার OC সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা ফাঁড়িতে আসেন। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এক মহিলা সহ যুবককে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে ওই যুবক ও নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এর পিছনে কারা রয়েছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুর্বারের দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক রানি রায় বলেন, ‘নাবালিকাকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বাংলাদেশ থেকে কোনও দালালের পাল্লায় পড়ে এই দেশে চলে এসেছে। পুলিশকে বলব এইসব দালালদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে। আর নাবালিকা যাতে নিজের বাড়ি ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিক। এরকম এর আগেও এখানে হয়েছে। তাই পুলিশের উচিৎ এই দালালরাজ ভেঙে দেওয়া। এই দালালদের কারণে অনেক ক্ষতি হয় মেয়েদের’।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, ‘একজন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরকে জেরা করে এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে’।