স্বপ্নকে তাড়া করে বেড়ানোর অদম্যদ জেদ সবার থাকে না। স্বপ্ন সত্যি করতে সুখের জীবন ছেড়ে ঝুঁকি নেওয়া অনেকের কাছেই ‘বোকামি’। কিন্তু এ রাজ্যে দুই তরুণী স্বপ্নকে সত্যি করতে কোনওভাবেই পিছপা হতে রাজি নন। এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। নিজের সত্ত্বায় ফিরে আসা যায় তা প্রমাণ করে দিলেন বাঁকুড়ার দুই বোন। বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি ছেড়ে তাঁরা খুলে ফেলেছেন ‘চা-চপের’ দোকান। বাঁকুড়ার দুই বোনের কাহিনী এখন লোকের মুখে মুখে। সুচিস্মিতা গোস্বামী ও সঞ্চিতা ভট্টাচার্যর দোকান ঘিরেই এখন আগ্রহ তুঙ্গে।

Bardhaman Shootout : ব্যারাকপুরের ছায়া গাংপুরে! দিনে দুপুরে সোনা দোকানিকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক
বাঁকুড়া শহর থেকে সুচিস্মিতা এবং সঞ্চিতার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন, তারপর সোজা যোগ বহুজাতিক সংস্থার চাকরিতে। ভালো বেতন মিললেও কোথাও যেন তাঁরা খুশি হতে পারছিলেন না। দুই বোন যেন চেয়েছিলেন অবাধ স্বাধীনতা, চেয়েছিলেন স্বাধীনভাবে নিজেদের লড়াইটা চালিয়ে যেতে। শেষমেষ জেদ এবং অদম্য ইচ্ছেশক্তি সেই পথেই ব্রতী করল তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের ইচ্ছে ছিল স্বাধীনভাবে কিছু করার। সেই কারণে বাঁকুড়া শহরের লোকপুরে দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে চা ও চপের দোকান খুলে ফেলেন তাঁরা।

Mizoram Bridge Collapse : ‘লাফ দিয়ে ঝুলে ছিলাম…’, মিজোরামে ‘সেতু বিপর্যয়ের’ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার মালদার নাজিমের
দোকানের বয়স মাত্র কুড়ি দিন। কিন্তু এর মধ্যেই দুই বোনের এই দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। শুধু চা, আলুর চপ বা বেগুনিতেই থেমে নেই সুচিস্মিতা-সঞ্চিতা। মোচা থেকে চিংড়ি চপ, ফিশ বল থেকে চিকেন বল সবকিছুর পসার সাজিয়ে রমরমিয়ে চলছে তাঁদের ব্যবসা। দু’জনের স্বামীই এই কাজে সম্পূর্ণভাবে তাঁদের সমর্থন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান সময়ে যে একটা চাকরির জন্য অনেকেই হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান, সেখানে এই সুখের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার ঝুঁকি আর ক’জনই বা নিতে পারে! শখ করে তাঁরা দোকানের নাম দিয়েছেন ‘আড্ডা’। সন্ধ্যে ঘনালেই সঞ্চিতা এবং সুচিস্মিতাদের এই ‘আড্ডা’ নামক দোকানে ভিড় জমায় শহরের যুব সমাজ,ওঠে চায়ের কাপে তুফান।

বড় বোন সুচিস্মিতা বলেন, ‘আমি একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করতাম। ভালো বেতনই পেতাম। ইচ্ছে ছিল স্বাধীনভাবে কোনও কিছু করার। যেখানে চাপ থাকবে না, স্বাধীনভাবে আমি অর্থ উপার্জন করতে পারব। সেটা সে করতে পেরেছি এতেই শান্তি। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত মানুষের ভালোবাসা পাব, সেটাই আশা করিনি। আমি এখন মন দিয়ে এই দোকান চালাতে চাই।’

Senco Gold Ranaghat Robbery Today: রেইকি হয়েছিল আগেই, সেনকোতে ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের গ্যাং! পুলিশী তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অন্যদিকে সঞ্চিতার কথায়, ‘দিদির দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। নিজের কিছু করার। ওকে দেখেই আমি আগ্রহী হই। সেখান থেকেই আমাদের এই দোকান। আমি এখানে থেকে দিদিকে সাহায্য করি। খুব অল্পদিনের দোকান হলেও প্রচুর মানুষ এখানে আসছেন। এটাই আমাদের পাওনা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version