রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘বহু মানুষ টোটো, ই-রিকশা চালিয়ে জীবনধারণ করেন। সরকার তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ করতে চায় না। আমরা চাইছি বেআইনি প্রোডকশন সেন্টার বন্ধ করতে।’ অবৈধ নির্মাণ-কেন্দ্র বন্ধ করলে ‘বৈধ’ কত টোটো, ই-রিকশা রাস্তায় নামছে–সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেগুলির চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্র্যাফিক পুলিশ পরিকল্পনা করতে পারবে বলে পরিবহণ দপ্তর মনে করছে।
মোটর ভেহিকেলসের নিয়মের আওতায় থাকায় আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের নজরদারি রয়েছে বাস, ট্রাকের মতো যানবাহনে। কিন্তু টোটো ই-রিকশার ক্ষেত্রে তা নেই। ফলে যেখানে-সেখানে স্ট্যান্ড তৈরি থেকে যানজটের সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। রুটেরও ঠিকঠাকানা নেই। বেআইনি কারখানায় তৈরি টোটো এবং ই-রিকশা এই সমস্যার নেপথ্যে বলে পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের পর্যবেক্ষণ। স্নেহাশিসের কথায়, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কে টোটো, ই-রিকশা চালানো যায় না।
আমরা একদিকে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে চাইছি, একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে চাই। এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার সব জেলাশাসককে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে স্টেক-হোল্ডারকে নিয়ে বৈঠকের জন্যে। জেলায় জেলায় কী ভাবে টোটো, ই-রিকশা চলাচল করবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।’ অবৈধ কারখানা বন্ধের পর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেবে রাজ্য সরকার। জেলায় টোটো, ই-রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা তৈরির পর কলকতার দিকে নজর দিতে চাইছে পরিবহণ দপ্তর।