পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর পুরসভায় চাকরি দেওয়া হবে, এমনই একটি বিজ্ঞাপন গত কয়েকদিন ধরে দেওয়া হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই বিজ্ঞাপনে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এমনকী হল ভাড়া করে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেওয়া হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টানা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন সহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গুরের বাসিন্দা সুমিত হালদার ও সৈকত মন্ডল, হরিপালের বাসিন্দা মৈনাক চট্টোপাধ্যায় হাওড়া বালির বাসিন্দা সুজিত সিং। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ফেসবুকের একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয় কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে চুক্তিমূলক কাজের জন্য লোক নেওয়া হচ্ছে। এমনকী পুরসভার একটি নামে একটি কক্ষ নিয়ে সেখানে নিয়োগ প্রার্থীদের ফর্ম ফিলাপ সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ও শুরু করেছিল কয়েকজন। সেখানে চাকরি প্রার্থী রা আসতেও শুরু করেছিলেন। গতকাল এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। শ্রীরামপুর পুরসভা থেকে ট্রেনিং চলাকালীন চার যুবককে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই বিষয়ে শ্রীরামপুর পৌরসভা পুরোপ্রধান গিরিধারি সাহা বলেন, ‘পুরসভা থেকে কোনA ধরনের চাকরির বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হয়নি। ঘটনার খবর যখন পুরসভার কানে পৌঁছায় তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সেখানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় কিছু লোককে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। অনেকের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তারপরেই পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই মাফিক শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এসে চারজনকে গ্রেফতার করে।’