জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আর রেকর্ড এখন সমার্থক। তিনি মাঠে নামলেই পরিসংখ্যানবিদরা খাতা-কলম নিয়ে তৈরি হয়ে যান। সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্য়াটিং সুপারস্টার বিরাট। সোমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের (Asia Cup 2023, IND vs PAK) ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন ব্য়াটিং মায়েস্ত্রো। বিরাটের ব্য়াটে লেখা হয়েছে বিশ্বরেকর্ড। আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে সচিনকে টপকে এখন বিরাট হয়ে গেলেন দ্রুততম ১৩ হাজার রানশিকারি। ২০০৪ সালে সচিন এই রেকর্ড করেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিণ্ডিতে। সচিনের এই রেকর্ড করতে লেগেছিল ৩২১টি ইনিংস, কোহলি করেছেন নিজের ২৬৭ নম্বর ইনিংসে। কোহলি দেশের জার্সিতে ৪৭ তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন। আর দু’টি সেঞ্চুরি করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন সচিনকে। কোহলি পাক বধের দিন কেএল রাহুলের (KL Rahul) সঙ্গে ১৯৪ বলে ২৩৩ রান যোগ করেছেন স্কোরবোর্ডে। এশিয়া কাপে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ম্যাচের পর কোহলি কথা বলেছেন তাঁর ইনিংস ও রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ নিয়ে।
আরও পড়ুন: WATCH | IND vs PAK: বাপ রে বাপ! পাকিস্তানকে পিষেই পুলে ভারত, কোহলিদের সে কী উদ্দাম নাচ
ঘটনাচক্রে ভারত টানা তিনদিন ক্রিকেট খেলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফয়সলা হয়েছে দু’দিনে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ ভারত খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে এই প্রথম এরকম কিছু করলাম। ভাগ্য ভালো যে আমরা টেস্ট প্লেয়ার। আমরা জানি পরের দিন কীভাবে ফিরে এসে খেলতে হয়। তরতাজা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নভেম্বরে ৩৫ হবে আমার। আমাকে তরতাজা থাকার কথা ভাবতেই হবে। তার মধ্যে এখানে প্রচণ্ড গরম! আমি সিঙ্গলের জন্য নিজেকে পুশ করেছিলাম। আমি খুবই খুশি। মাথার মধ্যে ঘুরছিল যে, আগামিকাল বিকেল তিনটের সময়ে মাঠে নামতে হবে।’ রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপের প্রসঙ্গে বিরাট বলছেন, ‘আমি ও কেএল, দু’জনেই প্রথাগত ক্রিকেটার। ও আর আমি যখন ব্যাট করি, তখন পার্টনারশিপ ভাঙা কঠিন। কারণ আমরা কেউ কোনও ফ্যান্সি শট খেলি না। আমরা পার্টনারশিপ নিয়ে খুব একটা ভাবিনি। আমাদের মাথার মধ্যে ছিল যে, ব্যাটিং করে যেতে হবে। আমাদের এটা অন্যতম সেরা স্মরণীয় পার্টনারশিপ। অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেটেও। ওর এভাবে ফর্মে ফেরা আমাদের জন্য ভীষণ ভালো।’ কোহলি ৯৪ বলে ১২২ রান করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ১৪৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ৯টি চার ও ৩টি ছয়ের সৌজন্যে অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১২৯.৭৮ এর স্ট্রাইক রেটে ব্য়াট করেছেন তিনি। অন্য়দিকে রাহুল দীর্ঘ পাঁচ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন। কেরিয়ারের ছয় নম্বর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংসে রাহুল ১২টি চার ও জোড়া ছক্কা হাঁকালেন।