Unesco World Heritage-এর স্বীকৃতি পেয়েছে Santiniketan। সেই জন্যই এবার যাদের জন্য এই স্বীকৃতি শান্তিনিকেতনের মুকুটে উঠেছে তাঁদের শুভেচ্ছা জানালেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা পাভেক। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল অভিনন্দন জানালেন তিনি। এমনকি অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের ঘুরতে আসার ছবিও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছেন তিনি।

Shantiniketan World Heritage : হেরিটেজ স্বীকৃতি: বিশ্বকবিকে নিয়ে কীর্তন
শান্তিনিকেতনের স্বীকৃতি

১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় রবি ঠাকুরের হতে তৈরি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আগের সপ্তাহেই রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো।

Santiniketan World Heritage : শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ তকমায় কৃতিত্ব কার? মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য
প্রচেষ্টা শুরু হয় আগেই

শান্তিনিকেতনটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার জন্য অনেক আগেই দাবিপত্র তৈরি করেন আভা লম্বা ও মণীশ চক্রবর্তী। শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ স্বীকৃতির ব্যাপারে কাজ শুরু করেন আরকেওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সদস্যরা। এরপর আভা লম্বা ও মণীশ চক্রবর্তীর দাবিপত্রটিই ইউনেস্কোতে জমা দেয় ASI। শান্তিনিকেতনের ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় নাম ওঠার সম্ভাবনার ইঙ্গিত অনেক আগেই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

Santiniketan World Heritage : বিশ্ব হেরিটেজের তকমা পেল শান্তিনিকেতন, ঘোষণা করল ইউনেস্কো
উচ্ছ্বাস সব মহলে

শান্তিনিকেতনের স্বীকৃতি মেলার পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপকদের মধ্যেও। এই স্বীকৃতির উদযাপনের বড় আকারের অনুষ্ঠানের কথাও জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

‘এক অধ্যায় শেষ হল, আবার নতুন অধ্যায় শুরু হবে’

কী ভাবে এল সাফল্য?

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার এবং পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তৎকালীন ডিরেক্টর গৌতম সেনগুপ্ত শান্তিনিকেতনের স্বীকৃতির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছিলেন। যদিও সেইসময় স্বীকৃতি মেলেনি শান্তিনিকেতনের। এরপর ২০২১ সালে শান্তিনিকেতনের জন্য সওয়াল করেছিলেন স্থপতি আভা নারায়ণ। তখন থেকেই শুরু হয় নতুন করে উদ্যোগ। রাজ্যে ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার-খ্যাত সুন্দরবন পেয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা। এছাড়াও বাংলার দুর্গোৎসব এই হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয় শান্তিনিকেতন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version