এই সময়, মেদিনীপুর: চাবি কার কাছে? এই নিয়ে স্কুলের দুই শিক্ষকদের মধ্যে গোলামালে বন্ধ রইল ক্লাসরুম। হল না পড়াশোনা। মিড-ডে মিল না খেয়েই বাড়ি ফিরতে হল পড়ুয়াদের। শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বেলগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।

চন্দ্রকোনা ২ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপাঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘এমনটা হওয়া উচিত হয়নি। প্রধান শিক্ষক ছুটি নেওয়ার কথা আমাদের গ্রুপে পোস্ট করলেও হয়তো অন্য শিক্ষকরা তা জানতেন না। ফলে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এমনটা যাতে আর না হয় সেই কারণে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

WB Teacher Recruitment : জট কাটতে চলেছে স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের
অসুস্থতার কারণে শুক্রবার ছুটি নিয়েছিলেন চন্দ্রকোনার বেলগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল ঘোষ। প্রধান শিক্ষক না আসায় ক্লাসরুমের তালা খোলা, স্কুলে পড়াশোনার দায়িত্ব ছিল বাকি দুই শিক্ষকের উপরে। কিন্তু চাবি নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই সহকারি শিক্ষক তন্ময় পাত্র ও রঞ্জন কবিরাজ। ছাত্রছাত্রী, মিড-ডে মিলের রাঁধুনি ততক্ষণে স্কুলের গেটে ভিড় করেছে। চাবি কার কাছে?

এই নিয়ে দুই শিক্ষক একে অপরের উপরে দায় চাপান বলে অভিযোগ। একজন জানান, তাঁর কাছে একটি চাবি থাকলেও সেটি অফিসরুমের মধ্যে। কিন্তু অফিস রুমে দুটো তালা লাগানো থাকায় খোলা সম্ভব নয়। অপর সহকারি শিক্ষক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে কোনও চাবি নেই। এই নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে ঝগড়া, গন্ডগোল, দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়।

Bankura School : টানা বৃষ্টির জেরে জল থৈ থৈ অবস্থা ক্লাসরুমে, পঠন-পাঠন শিকেয় বাঁকুড়ার স্কুলে
সহকারি শিক্ষক অরুণ কর্মকার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে ঘটনার কথা জানালে তিনি অফিসরুমের তালা ভেঙে ফেলার কথা বলেন। কিন্তু অভিভাবকরা তাতে বাধা দেন। ফলে স্কুলের ক্লাসরুম খোলা সম্ভব হয়নি।’ বেলগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক মিলিয়ে মোট ৩ জন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭০ জন। ১২ টার পরেও কেন ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে ছাত্রছাত্রীরা? কেন পঠনপাঠন, মিড-ডে মিলের রান্না শুরু হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে স্কুলের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন অভিভাবকরা।

West Bengal School : স্কুলের ব্র্যান্ডিং হোক সোশ্যাল মিডিয়ায়, চাইছে শিক্ষা দফতর
তাঁদের অভিযোগ, সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও স্কুলের তালা খোলা হয়নি। দুই শিক্ষক এলেও চাবি নেই কারও কাছে। প্রধান শিক্ষক সুনীল ঘোষ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্কুলে একটা মিটিং ছিল। সেই মিটিংয়ের পরে ক্লাসরুমের চাবি অফিসরুমে থেকে গিয়েছে। ওই ঘরের চাবি দুই সহকারি শিক্ষকের কাছেও থাকে। একজন চাবি থাকার কথা স্বীকার করলেও অন্যজন পুরো অস্বীকার করেছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি ছুটিতে আছি। বাইরে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। এতে আমার কী করার আছে।’

https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version