পুজো বলে তো তিনি মানবেন না! খাবারের খোঁজে গ্রামে হানা দেবেন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। পুজোর মধ্যেও হাতির আতঙ্কে সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সন্তর্পনে হাতির আগমনের কারণে লণ্ডভণ্ড হয় ঘর বাড়ি, চাষের জমি। ক্ষয়ক্ষতি হয় গ্রামবাসীদের। হাতির হাত থেকে বাঁচতে অভিনব উপায় বেছে নিল গ্রামবাসীরা।

হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট গ্রামবাসী

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দলমার দামালদের যাতায়াত বেড়েছে বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তের সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামগুলিতে। খাদ্যের টানে গ্রামে ঢুকে পড়া হাতির হানায় বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি প্রাণ হানির মতোও ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে পড়া হাতির উপস্থিতি টের পেতে অভিনব কৌশল নিয়েছেন আদিবাসী প্রধান নেকড়াতাপল গ্রামের মানুষ।

হাতি তাড়াতে ঠরকা

গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে দড়ি বেঁধে নিজেদের হাতে তৈরি ঘণ্টা। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘ঠরকা’ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ওই ঠরকা বিশালাকার হাতির শরীরে লেগে বেজে উঠবে। ফলে গ্রামের মানুষ সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে হাতির হানায় বাড়ি বা সম্পত্তি হানির ঘটনা ঘটলেও প্রাণ হানির আশঙ্কা অনেকখানি কমানো সম্ভব বলে ওই গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন।

কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

আসন্ন শারদোৎসবের দিন গুলির কথা ভেবে চিন্তিত গ্রামবাসী মিনতি হাঁসদা, কেশরী হাঁসদারা। তাঁরা বলেন, ‘একটি আবাসিক হাতি এই এলাকায় রয়েছে। তবে বিগত একমাস তার দেখা নেই।’ পুজোর দিন গুলোতে হাতির আক্রমণের আশঙ্কা করছেন। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাম জুড়ে তারা ‘ঠরকা’ বেঁধেছেন বলে জানান।

কী বলছে বন দফতর?

বন দফতরের দুবরাজপুর বীট অফিসার বৈদ্যনাথ টুডু বলেন, ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরাসরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। নতুন করে আবেদনকারীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে শারদোৎসবের দিন গুলোতে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

West Bengal Tourism: হোটেল, লজে বুকিং প্রায় শেষ মুকুটমণিপুর ও বিষ্ণুপুরে, পুজোর ৪ দিন ডেস্টিনেশন বাঁকুড়া
হাতির তাণ্ডবে ক্ষতি

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার গ্রামে ঢোকে ৪০টি হাতির দল। একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হওয়ায় আক্রমণাত্মক ভাবে গ্রামে ঢোকে দলটি। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মীকে আহত করে হাতির দল। তাঁদেরকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪০টি হাতির দল একবারে বাঁকুড়া জেলায় ঢুকে পড়ায় চিন্তায় পড়ে যায় বন বিভাগ। হাতির দলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সেপ্টেম্বর মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version