উৎসবের মরশুমে সরকারি কর্মীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়েছিল কেন্দ্র। চার শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কার্যত খুশির হাওয়া বইছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে। এরই মধ্যে আরও এক রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে DA ঘোষণা করল। নবীন পট্টনায়েক রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। ফলে সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA ৪২ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৪৬ শতাংশ।

আর এই ঘোষণার পরেই বাংলার সরকারি কর্মীদের মধ্যে জ্বলতে থাকা আগুনে ঘি পড়ে। কার্যত ফুঁসে উঠেছেন তাঁরা। কেন্দ্রের ঘোষণার পরেই বাংলার সরকারি কর্মীরা রীতিমতো ফুঁসে উঠেছেন। আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথা বলেছেন তাঁরা। এরপর ওডিশা প্রশাসনের ঘোষণা। আরও ক্ষুব্ধ তাঁরা।

রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “এটা প্রত্যাশিত। AICPI অনুযায়ী কেন্দ্র যখনই DA দেয় তখনই ভারতের প্রায় সমস্ত রাজ্যই মহার্ঘ ভাতা দেয়। আর তাদের মধ্যে ওডিশা অন্যতম। এবার অন্যান্য রাজ্যগুলিও দিয়ে দেবে। ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্ভুক্ত যে সমস্ত রাজ্যগুলি রয়েছে তারাও দিয়ে দেবে। যদি কেউ না দেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলব, আপনি সবকিছু করছেন শুধু DAটাই দিচ্ছেন না। আগুন নিয়ে আর খেলবেন না। পুজোর মুখে DAটা দিয়ে দিন। না হলে কর্মচারিদের কাছে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।”

DA West Bengal : কবে বকেয়া DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? সাফ জবাব রাজ্যের মন্ত্রীর
অন্যদিকে, DA প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া। রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। আর সেই কারণেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারকে, তা জানিয়েছেন তিনি।

মানস বলেন, “কেন্দ্রের কাছে বিপুল টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ছয় শতাংশ DA দিচ্ছে। আগে কেন্দ্রকে বলুক যে টাকা ফেরত দিতে। রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। মানবিকভাবে তাঁদের বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।”

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। SAT-এও আইনি লড়াই লড়েছিলেন তাঁরা। আর সেখানে তাদের জয় হয়। এরপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। ডিভিশন বেঞ্চেও জয় হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের।

কিন্তু, আপাতত DA মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী ৩ তারিখ মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনও সর্বোচ্চ আদালতের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version