জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের অন্তর্দ্বন্দ্বেই এমন ঘটনা। এদিন সকালে রুটে আরও ১০টি নতুন অটোকে ঢোকানো নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। সেই ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি এমন হয়ে যায়, যে খবর যায় বেলঘড়িয়া থানায়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘড়িয়ার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৩০ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই অটোর স্ট্যান্ড। দিনভর এই রুটে মোট ২৫টি অটো চলে নিত্য চলে। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার এই রুটটি পুরোপুরি পরিচালিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইউনিয়নের দ্বারা। অটোচালকদের অভিযোগ, ২৫ টি অটোর পরেও নতুন করে ১০ টি অটো ঢোকানো হচ্ছে রুটে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকার বিধায়কের নাম নিয়ে এই কাজ করানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বাকি অটোচালকেরা। তাদের দাবি, নতুন করে কোন অটো এই রুটে ঢোকাতে দেবে না আগের অটোচালকেরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নে স্পষ্টতই চিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে এই ঘটনায়। এক পক্ষ নতুন অটোকে রুটে ঢোকাতে চায় তো আরেকপক্ষ নতুন অটো অন্তর্ভুক্তিকরণের বিরোধিতা করছে। এই নিয়েই তুঙ্গে গণ্ডগোল। গরমাগরমির চোটে আসতে হয় পুলিশকেও।
বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও প্রতিবাদে অনড় পুরনো অটোচালকরা। সেই কারণে আগরপাড়া স্টেশন থেকে ডানলপ পর্যন্ত অটো রুট বন্ধ রেখেছে অটো চালকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এই রুটের নিয়মিত এক অটো চালক জানান, ‘এমনিই এই রুটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। বাস রয়েছে। তার মধ্যে ভাড়া মাত্র ১২ টাকা। সকাল থেকে রাত অবধি অটো চালিয়েও অন্যান্য রুটের তুলনায় অনেক কম রোজগার। সেখানেও আরও নতুন অটো এলে কী করে পোষানো যাবে?’
এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বেলঘড়িয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, যতক্ষণ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেবে ততক্ষণ এই অটো রুট বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অটোচালকেরা।