কবে বসছে বাজি বাজার?
কলকাতা শহিদ মিনারের পাদদেশে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে বাজি বাজার বসতে চলেছে। চলবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ভাইফোঁটা পর্যন্ত বাজি কেনার সুযোগ পাবেন কলকাতাবাসীরা। প্রায় তিন বছর পর কলকাতায় ফের বাজি বাজার চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি।
জেলায় জেলায় বাজি বাজার
সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির তরফে জানা গিয়েছে, এবার ময়দানে মোট ৫০ টি স্টল থাকবে। এছাড়াও একাধিক জেলায় বাজি বাজারের আয়োজন করা হবে। সারা রাজ্যে কমবেশি ৭০ টি জায়গায় বাজি বাজার বসবে বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে হাওড়া জেলায় ডুমুরজলা সহ একাধিক জেলায় বাজি বাজারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এমনকি, উত্তরবঙ্গের ২০ টি জায়গায় বাজি বাজার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাজি নিয়ে সতর্কতা
শব্দবাজি বা দূষণ ছড়ানোর মতো বাজি বিক্রি না করার ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা রাজ্যের। সমস্ত স্টলেই রঙিন আতশবাজি ও পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি বিক্রি করা হবে বলেই নির্দেশিকা রয়েছে। কালীপুজো সহ উৎসবের মরশুমে বাচ্চা থেকে বড়রা আতশবাজির রঙিন খেলায় মেতে ওঠেন। এই কটাদিন ভালো ব্যবসার সম্মুখীন হন বাজি ব্যবসায়ীরা।
সেই কথা মাথায় রেখেই ময়দানে বাজি বাজার করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাজি ব্যবসায়ী সমিতি। নবান্নের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ময়দানে বাজি বাজার করার ব্যাপারে অনুমতি নেওয়া হয়। ফুলঝুরি, চরকি, হাওয়াই, তুবড়ি, রংমশাল-সহ বিভিন্ন আতশবাজি নিয়ে হাজির থাকবেন ব্যবসায়ীরা।
বাজি নিয়ে সমস্যা
এগরা থেকে দত্তপুকুর একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের। বেআইনি বাজি কারখানায় নিয়ে জেলায় জেলায় ধরপাকড় শুরু হয়। বর্তমানে বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম এবং বিধি মানার কঠোর নির্দেশ রয়েছে। অবৈধ বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে প্রত্যেকটি জেলাশাসককে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।