তাপস প্রামাণিক:
পাহাড়ের ক্ষোভে প্রলেপ দিতে হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর! সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাহাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজের জন্য রাজ্য সরকারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড থেকে জিটিএ-কে ২৫ কোটি টাকা বিশেষ আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি নবান্ন থেকে সেই টাকা ছাড়া হলেও স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড থেকে কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি বলে অভিযোগ। তার বদলে স্টেট অ্যাকশন প্ল্যানের (২০২৩-২৪) বরাদ্দ থেকে ওই টাকা খরচ করতে বলা হয়েছে। তা নিয়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে জিটিএ-র অন্দরে। সেই বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে জিটিএ-র উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে পাহাড়ের বিরোধী দলগুলি। তাই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী।

সরকারি সূত্রের খবর, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের বিয়েতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। সম্ভবত, সেই বৈঠক থেকেই পাহাড়ে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্গঠনের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বকেয়া টাকা মেটানো নিয়েও জিটিএ নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন তিনি।

নবান্ন সূত্রের খবর, পাহাড়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো সরকারের কাছ থেকে টাকা না মেলায় কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে নালিশ জানান জিটিএ প্রধান তথা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান অনীত থাপা। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানান, টাকার অভাবে ঠিকাদারদের বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না। ফলে জরুরি কাজকর্ম আটকে থাকছে। রাস্তাঘাটও সারানো যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান না হলে তিনি জিটিএ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁর দলের নেতারা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছেও তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

জিটিএ কর্তাদের যুক্তি, স্টেট অ্যাকশন প্ল্যানের (২০২৩-‘২৪) টাকা থেকেই পাহাড়ে রাস্তাঘাট বানানো সহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের কাজ করা হয়। সাংবিধানিক চুক্তি অনুযায়ী, সেটা জিটিএ-র প্রাপ্য টাকা। সেই টাকা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যায় করলে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version