জয়নগর কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দারের। রবিবার নিহত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের স্মরণসভা থেকে হুঙ্কার তৃণমূল বিধায়কের। প্রশাসনের পাশাপাশি দলের তরফেও এই হত্যার ঘটনার ‘তদন্ত’ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এরপরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ যাঁরা সইফুদ্দিনকে কেড়ে নিয়েছে, তাঁদের ঘুমোতে দেব না।’

কী বললেন বিধায়ক?

বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার এদিন স্মরণসভায় বলেন, ‘একটা বড় চক্র আছে। প্রশাসন শাস্তি না দিলে আমরা তাদের শাস্তি দেব। প্রশাসন তদন্ত করছে। আমরাও তদন্ত করছি। যারা সইফুদ্দিন কে আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে তাদের রাতে ঘুমোতে দেব না।’
অন্যদিকে, এদিন জয়নগর কাণ্ডে নিহত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জয়নগর কাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাপারে পুলিশের উপরেই আস্থা রাখলেন তিনি। পাশাপাশি, নিহত তৃণমূল কর্মীর নামে এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয় করার ব্যাপারেও ঘোষণা করলেন ফিরহাদ।

কী বললেন ফিরহাদ?

রবিবার সকালে নিহত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ফিরহাদ হাকিম। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি ওদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলাম। এখানে সইফুদ্দিনের নামে একটি পার্টি অফিস হবে। যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। পুলিশ সঠিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে পেশ করবে। আদালত সঠিক বিচার করে দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলে আমি আশাবাদী।”

জয়নগর ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। কয়েকদিনে আগেই দফায় দফায় জয়নগর কাণ্ডের পর দোলুয়াখাকি গ্রামে গিয়ে ত্রাণ বন্টন করেন সিপিএম, আইএসএফ এবং অন্যান্য সমাজ কর্মীরাও। গ্রামে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘সিপিএম বিজেপি একত্রিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র কারা করল? কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল তা খতিয়ে দেখা হোক।’

Joynagar News : ‘এটা বড় ঘটনা…’, দোলুয়াখাকির পাশে দাঁড়িয়ে দাবি কামদুনির মৌসুমী-টুম্পার
জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে ঘটনার ১৩ দিন পর নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি মৃত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের বাবা ও ভাইদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৩ই নভেম্বর ভোরে বাড়ির সামনেই গুলিতে খুন হন সইফুদ্দিন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে ১০/১২ জন যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকিরা এখনও অধরা। তাদের সন্ধানে নানান জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ঘটনার দিন বাইক করে পাঁচ ছয়জন এসেছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে ঘটনার ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলেই মনে করা হচ্ছে আনিসুর লস্করকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version