ডায়মন্ড হারবারের দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ক্যাম্প করে অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ শুরু হওয়ার প্রথম ছ’সাত দিনেই ৫০ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। মাস কয়েক আগে ফলতায় অভিষেক জানিয়েছিলেন, বার্ধক্য ভাতার জন্য ক্যাম্পগুলি থেকে আবেদনপত্র গ্রহণের পর সেগুলি রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ক্যাম্পগুলিতে ভাতার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এত ভালো সাড়া মিলেছে, যা দেখে আরও এক সপ্তাহ ক্যাম্প চালানো হতে পারে।
তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই যাতে আবেদনকারীরা ধাপে ধাপে ভাতা পেতে পারেন, সে জন্য অভিষেক নিজে উদ্যোগী হবেন। শেষ পর্যন্ত আবেদনকারীর সংখ্যা লক্ষ ছাড়ালেও তাঁদের সকলেই যাতে ভাতা পান, সে লক্ষ্যে সচেষ্ট হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
জোড়াফুল শিবিরের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বুধবার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। ফলে অনেক প্রকল্পে টাকা রিলিজ় করতে কিছু দেরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।’ করোনা অতিমারীর সময়ে সংক্রমণ রুখতে বিপুল সংখ্যায় টেস্টিংয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তখনই ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’-এর কথা উঠে আসে। সেই মডেলেই বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে কেউ যাতে বঞ্চিত না-থাকেন, সেটা অভিষেক নিশ্চিত করতে চাইছেন বলে তৃণমূলের বক্তব্য।