কেন্দ্রীয় পরিবহণ নীতির প্রতিবাদে এবার বাস বন্ধ করে আন্দোলনে সামিল পূর্ব বর্ধমানের বাস চালকরা। বন্ধ একাধিক রুটের বাস। যার জেরে ব্যাপক হয়রানি যাত্রীদের। জেলার উল্লাস ও নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতেগোনা কয়েকটা বাদে চলছে না সিংহভাগ বাসই। জরুরী কাজে বেড়িয়ে সমস্যায় যাত্রীরা। উলটে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে টোটোয়। নতুন কেন্দ্রীয় পরিবহণ আইনের জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হবে চালকদের। তাই এই আইন অবিলম্বে রদ করার দাবি জানিয়েছেন বাস চালকরা। না হলে আগামীতে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বাস চালকরা।

কোন কোন রুটের বাস বন্ধ?
বর্ধমান থেকে বাইরে ও শহরের মধ্যে বেশকিছু বাস বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বর্ধমান-কাটোয়া, বর্ধমান-আরামবাগ, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বর্ধমান-বাঁকুড়া, বর্ধমান-কালনা-সহ বেশকিছু রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়া রয়েছে। বন্ধ রয়েছে একাধিক টাউন সার্ভিস।

বিনোদ সাউ নামে এক বাসচালক বলেন, ‘আমরা চাই অমিত শাহ যে আইন বানিয়েছেন সেটা যেন বন্ধ করা হয়। আমরা ক’টা টাকা পাই? এত দল বদলায়, কিন্তু ড্রাইভারের যে মাইনে বাড়বে এই বিষয়ে কারও চিন্তা নেই। যদি ৭ লাখ টাকা ড্রাইভারের কাছে থাকে, তাহলে সে গাড়ি চালাতে আসবে কেন? ড্রাইভার জীবনে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, তারপরেও ৭ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের জেল। দুর্ঘটনা হলে সবসময়ই ড্রাইভার চেষ্টা করবে পালিয়ে যাই, নয়তো জনতা পিটিয়ে মেরে দেবে। একদিকে জনতা মারবে, অন্যদিকে সরকার মারবে, তাহলে কোনদিকে যাব? তার থেকে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া ভালো।

Truck Driver Strike News : উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ ট্রাক চালকদের ধর্মঘট-প্রবল ক্ষোভ, কেন প্রতিবাদ? কোথায় আপত্তি জানুন
হয়রানির শিকার যাত্রীরা
এদিকে বাসচালকদের এই ধর্মঘটে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এক স্কুল শিক্ষিকা জানান, স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাস স্ট্যান্ডে এসে কোনও বাস পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে টোটো খুঁজতে হচ্ছে। কিন্তু টোটোও তাঁর গন্তব্য পর্যন্ত যেতে চাইছে না। যে টোটো চালকরা যাবেন বলছেন, তাঁরাও বাড়তি ভাড়া চাইছেন। ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আরও এক বয়স্ক মহিলা জানান, বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনও বাস যাচ্ছে না। অসুস্থ শরীরে দাঁড়িয়ে থাকও কষ্টকর হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন গাড়ি চালকরা। ট্রাক চালকদের পর এবার তাতে সামিল হলেন বাস চালকরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version