পুলিশের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ফের ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। টিটাগড় থানার এক তদন্তের মামলায় আদালতের রোষের মুখে পড়তে হল পুলিশকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের তদন্তের ধারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা কী! এই ধরনের তদন্তের সঙ্গে যুক্ত টিটাগড় থানার তদন্তকারী অফিসার ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে পুলিশ মেডেল দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।

কোন মামলায় ক্ষুব্ধ কোর্ট?

টিটাগড় থানার অন্তর্গত একটি বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের সংঘাতের ঘটনায় মৃত্যু হয় বাড়িওয়ালার পক্ষের এক সদস্যের। পুলিশের অভিযোগ দায়ের হয় ভাড়াটের বিরুদ্ধে।
বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় বাড়িওয়ালার ওই সদস্যকে মারধর করে উপর থেকে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের ধারা ৩০২ যোগ না করে ৩০৪ ধারা প্রয়োগ করে।

পুলিশের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ

পুলিশের এই তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা শুনানি চলাকালে বিচারপতির প্রশ্ন কেন ৩০২ ধারা যোগ করা হয়নি? সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্তের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত তথ্য উদ্ধার হচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই ৩০২ ধারা যোগ করা হবে।

Primary Recruitment Case : রোল নম্বরে ‘রেজিস্ট্রেশন খেল’! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি
কী জানাল আদালত?

বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে কমিশনারের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে উপর থেকে মারধর করে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা কি সরাসরি খুন অর্থাৎ ৩০২ ধারা যোগ এর ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়? তাহলে পুলিশ প্রথমেই কেন এই ধারা যোগ করল না? আগামীকাল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে আদালতে রিপোর্টের মাধ্যমে স্বশরীরে হাজিরা দিতে হবে। জানাতে হবে, তদন্তের কোন পর্যায়ে তাদের মনে হল এই মামলায় ৩০৪ নয় ৩০২ অর্থাৎ সরাসরি খুনের দ্বারা যুক্ত করা প্রয়োজন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্তের উপরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই টিটাগড়ে এক ব্যক্তিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। টিটাগড় স্টেশন সংলগ্ন ওরানপাড়া এলাকায় এক দোকানের কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version