লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের একে অপরকে আক্রমণের বহর বাড়ছে। কখনও কখনও আক্রমণের মাত্রাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। এবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে নজিরবিহীন আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের।

কী জানালেন অপরূপা?

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। তা নিয়ে যত বিতর্ক। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম নিয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন তিনি। একটি সারমেয়র ছবি পোস্ট করে কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। ছবির নিচে লেখা হয়, ‘ চোরের মায়ের বড় গলা।’ সিপিএম নেতাকে লক্ষ্য করে এই আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অভিযোগ কী ছিল?

সেই পোস্টে অপরূপা দাবি করেন, সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে একটি পোষ্য ছিল। সেই সারমেয় বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পুলিশ ডগ স্কোয়াডে চাকরি করত। নিয়ম অনুযায়ী সারমেয়দের মালিককে এক্ষেত্রে বেতন দেওয়া হয়। অপরূপা এরপর দাবি করেন, সেই সারমেয় পেনশন পেতেন। সারমেয় বেতন এবং পেনশন নিতেন সুজন চক্রবর্তী বলে দাবি করেন তিনি।


যদিও গোটা অভিযোগের মধ্যে কোথাও সুজন চক্রবর্তীর ছবি তিনি ব্যাবহার করেননি। তবে অনেকেই মনে করছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশে তিনি এই পোস্ট করেছেন। যদিও তাঁর তোলা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি শেখ শাহজাহান পর্ব অস্বস্তিতে ফেলছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় যেমন বলছেন এই ঘটনায় দলের ক্ষতি হবে, অন্যদিকে দলের প্রবীণ বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, এরপর জনরোষ হবে। বিজেপির ইডি – সিবিআই থাকলে তৃণমূলের যুব তৃণমূল, ছাত্র সংগঠন রয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সেই প্রেক্ষিতেই সিপিএম নেতাকে পালটা সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ তৃণমূল সাংসদের বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।

Manoranjan Bapari : মনোরঞ্জন-রুনা বিবাদ ‘ছেলেমানুষী’, দু’পক্ষকে বৈঠকে বসিয়ে বিতর্কে দাঁড়ি টানল জেলা তৃণমূল
তবে এর রাজ্য রাজনীতির ময়দানে এর আগে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন অপরূপা পোদ্দার। সম্প্রতি বালুরঘাটে বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী মহিলা কর্মীদের দণ্ডি কাটিয়ে দলে ফেরানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনায় দণ্ডি কাটানোর সমর্থনে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান এই সাংসদ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version