১৪ বছর বনবাসে গিয়েছিলেন রাজা রামচন্দ্র। সেই কথায় মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে ১৪ ফুটের রাম মূর্তি। অযোধ্যায় যখন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে, তখনই এ রাজ্যের বর্ধমান জেলায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে এই রাম মূর্তি। সোমবার, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনেই এই মূর্তি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই কালনাতেও রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন রামভক্ত সমীর দাস। ২২ জানুয়ারি কালনার আরএমসি মার্কেট সংলগ্ন একটি জায়গায় বেদি বানিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজো অর্চনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে রামলালার এই মূর্তি।

দেড় মাস আগে কালনার বাসিন্দা সমীর দাস, কালনা চড়কতলা এলাকার শিল্পী জগত মণ্ডলকে এই মূর্তি তৈরির জন্য বরাত দেন। শিল্পী আরও কয়েকজন সহ শিল্পীকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেন। শিল্পীর কথায়, ১৪ বছর রামচন্দ্র বনবাসে ছিলেন, আর সেই কারণে আর সেই কারণেই ১৪ ফুটের এই রামমূর্তি তৈরি। আগামীকাল অযোধ্যার পাশাপাশি কালনার আরএমসি মার্কেট সংলগ্ন এলাকাতে এই রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে।

মূল উদ্যোক্তা সমীর দাস বলেন, ‘আমি রামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত। আর সেই মতন যখন শুনতে পাই রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে বাইশে জানুয়ারি, সেই মতন এই মূর্তি বসানোর জন্য উদ্যোগ নিই।’ তাঁর কথায়, প্রথমে কাউকে পাশে না পেলেও, এখন বহু মানুষ আমার পাশে রয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। সোমবার এই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। আগামী দিনে সেখানে একটি মন্দির তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্দির নির্মাণে কোটি টাকা অনুদান,তবু প্রাণ প্রতিষ্ঠায় নেই অক্ষয়! কীসের অভিমান অভিনেতার?
জানা গিয়েছে, মূলত মার্বেল ডাস্ট ও ফাইবার গ্লাস মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১৪ ফুটের রামের মূর্তি। মূর্তি তৈরিতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এই মূর্তি পুজোর আনন্দে সোমবার সকাল থেকেই মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমীর দাস এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানান তিনি। নিজের শখ ছিল একটি সুদৃশ্য মূর্তি বানিয়ে রাম পুজোর করার। সেই স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে আজ বলে জানান সমীর। তিনি জানান, উত্তর প্রদেশে রাম মন্দিরে গিয়ে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দেখার সুযোগ অনেকেরই হয়না। সেক্ষেত্রে নিজের উদ্যোগে তৈরি এই মূর্তি পুজো করেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ করছেন কালনার এই রাম ভক্ত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version