দেখতে দেখতে কেটে গেল এবারের বই মেলা। প্রতিবারের মত এবারেও ভিড় জমিয়েছেন লাখ লাখ বই প্রেমী। শহর কলকাতা, এমনকী পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে। মানুষের যাতে যাতয়াতে অসুবিধা না হয় তার জন্য স্পেশ্যাল বাস ও মেট্রো পরিষেবারও ঘোষণা করা হয়। যার ফলে মেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধাও হয়েছে মানুষের। কিন্তু এত কিছুর পরেও বই কতটা কিনলেন মানুষ? তা কি প্রকাশকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারল?

বই মেলায় প্রতিবছরই থাকে নানাবিধ খাবারদাবারের স্টল। আর মেলায় ঘুরতে ঘুরতে খিদে পেলে বা সান্ধ্যকালীন জলযোগের জন্য অনেকেই সেই সমস্ত দোকানে গিয়ে পছন্দসই খাবার সংগ্রহ করেন। শীতের সন্ধ্যায় গরম কফির সঙ্গে সেই সমস্ত স্ন্যাক্স বা খাবারে কামড় দিতে বেশ ভালোই লাগে মানুষের। ফিসফ্রাই, চাউমিন, চিকেন পকৌরা সহ নানাবিধ স্ন্যাক্সের সম্ভার থাকে বিভিন্ন ফুড স্টলে। এই ছবিটা মোটামুটি প্রতিবারের বইমেলাতেই একইরকম।

তবে এবারের গল্পটা একটু অন্যরকম। সাহিত্য প্রেমীদের অনেকেরই দাবি, এই বছর বইয়ের দোকানের তুলনায় মানুষের আকর্ষণ ফুড স্টলের প্রতি কিছুটা বেশিই। বইয়ের কাউন্টারের পরিবর্তে ফুড স্টলে অতিরিক্ত সময় কাটাতে বা খাবার নিয়ে সেলফি ও গ্রুফিতে ক্লিক করতেই ব্যস্ত থাকছেন একটা বড় অংশের মানুষ। অর্থাৎ একাংশের মানুষের মধ্যে বই মেলায় গিয়ে পুস্তক সংগ্রহের তাগিদে কিছুটা হলেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বলেই অভিযোগ বইপ্রেমীদের একাংশের।

যদিও এই কথা অবশ্য মানতে রাজি নন দে’জ পাবলিশিংয়ের অন্যতম কর্তা তথা গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে। তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে বলেন, ‘ছেলে মেয়ে আত্মীয়স্বজন নিয়ে অনেকেই বই মেলায় আসছেন। তাঁরা বই কিনছেন, তারপর খাওয়াদাওযার জায়গায় যাচ্ছেন। খাওয়া বাদ দিয়ে তো আর বইমেলা নয়।’ এবার কি খাওয়াদাওয়ার প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি? গিল্ডের সম্পাদকের জবাব, ‘তেমন তো দেখলাম না। খাবারের স্টল আর ক’টা? বইমেলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ আছে। অনেককে দেখলাম, বই পছন্দের পর কাউন্টারে গিয়ে হয়ত তাতে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। এটা মাসের শেষ বলে হতে পারে। কারণ এবার তো বইমেলা একদম মাসের শেষে হল। মাসের প্রথম দিকে হলে আরও বিক্রি হত।’ এই প্রসঙ্গে সুধাংশু শেখর দে জানান, এখনও পর্যন্ত মেলায় ভিড় হয়েছে ২৯ লাখেরও বেশি মানুষের। বিক্রি হয়েছে ২৮ কোটি টাকারও বেশি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version